বাংলাহান্ট ডেস্ক : ত্রিপুরা উপনির্বাচনে হতাশাজনক ফল তৃণমূলের। প্রত্যাশামতো ভোট প্রাপ্তি ঘটল না তৃণমূলের ভাগ্যে। ফল প্রকাশের পরই দেখা যায় চারটি কেন্দ্রেই চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঘাসফুল শিবির। কিন্তু তাতে অবশ্য হতাশা একেবারেই গ্রাস করেনি ঘাসফুল শিবিরকে। তেইশের নির্বাচনকে লক্ষ্য করে আন্দোলন চালিয়ে যাবে তৃণমূল। আমজনতার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সুসম্পর্ক যেমন ছিল ঠিক তেমনি থাকবে। ত্রিপুরা উপনির্বাচনের ফল প্রকাশের পর এমনই মন্তব্য কুণাল ঘোষের।
উপ নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর তৃণমূলের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর কুনাল ঘোষের মন্তব্য, উপনির্বাচনে যথেষ্ট পরিমাণ ছাপ্পা হয়েছে। অবাধ সন্ত্রাস চালিয়েছে বিজেপি। সবাই মিলে আটকাতে চেষ্টা করেছে তৃণমূলকে। আগরতলা, টাউন বড়দোয়ালি, যুবরাজনগর, সুরমা – এই চার কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ফল প্রকাশিত হলো রবিবার। আগরতলা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেসের সুদীপ রায় বর্মন। প্রায় তিন হাজার ভোটে পরাস্ত করেছেন বিজেপি প্রার্থীকে। এই কেন্দ্রে চতুর্থ স্থান দখল করেছে তৃণমূল। অন্যদিকে টাউন বড়দোয়ালিতে জয়ী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মানিক সাহা। এই কেন্দ্রেও ঘাসফুল শিবির রয়েছে চতুর্থ স্থানে।
উপনির্বাচনের ফলাফল স্পষ্ট হওয়ার পরই বক্তব্য রাখেন কুনাল ঘোষ। তিনি জানান,”যদি কেউ ভেবে থাকেন এই ফলাফলে তৃণমূল হতাশ তাহলে তিনি ভুল। এই ফলাফল কিছুই প্রমাণ করে না। যদিও এই বিষয় সাংগঠনিক স্তরে আলোচনা হবে। উপনির্বাচনে রীতিমতো সন্ত্রাস তৈরি করেছে বিজেপি। দিকে দিকে সন্ত্রাস, ছাপ্পা ভোটের মাধ্যমে জয়লাভ করেছে তারা। তৃণমূলের জনপ্রিয়তায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে সবাই। কংগ্রেস ,সিপিএম ,বিজেপি সবাই মিলে তৃণমূলকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু ২০২৩ শে যে বিকল্প সরকার তৈরি হবে তার নেতৃত্ব তৃণমূলই দিতে চলেছে”। অন্যদিকে ত্রিপুরার তৃণমূল রাজ্য সভাপতি সুবল ভৌমিক জানান, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্যে আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরায় পরিবর্তন আনবে।”