কলকাতাকেও হার মানাবে নতুন বর্ধমান! জেলা সফরে গিয়ে বড় দাবি খোদ মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলাহান্ট ডেস্ক: এগোচ্ছে বর্ধমান (Burdwan)। যে বর্ধমানের জন্য রাজ্যবাসী দুবেলা-দুমুঠো ভাতের বন্দোবস্ত করতে পারেন, সেই বর্ধমানের শ্রীবৃদ্ধি ঘটছে। কৃষি থেকে শুরু করে শিল্প- পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমানের উন্নতি রীতিমতো নজর কেড়েছে প্রশাসনিক মহল থেকে শুরু করে রাজ্যবাসী মনেও। বর্ধমান জেলার এই অভূতপূর্ব উন্নতির কথা সোমবার বর্ধমান শহরে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের অনুষ্ঠানে এসে নিজের মুখে আরও একবার স্বীকার করে নিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, তৃণমূল সুপ্রিমোর মতে, অদূর ভবিষ্যতে কলকাতাকেও হার মানাবে বর্ধমান।

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘বর্ধমানবাসীর কাজ এবং সাহসের জন্য বর্ধমানের নতুন শেপ কলকাতাকেও হার মানিয়ে দেবে । কৃষি এবং শিল্পের মেলবন্ধনের মাধ্যমে বর্ধমানকে এগিয়ে যেতে হবে।’’ এর পাশাপাশি বর্ধমানের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে তিনি আরোও জানান, ‘‘গর্ব করে বলুন, আমি ভাতারে থাকি, আমি কালনায় থাকি, আমি কাটোয়ায় থাকি, আমি বর্ধমানে থাকি। আমরা বর্ধমান জেলার বাসিন্দা। এ ভাবেই বর্ধমান এগিয়ে চলুক।’’

বর্ধমানবাসীর প্রশংসা করে মুখ্যন্ত্রী বলেন, ‘‘আপনাদের সবুজ মন। মাটির লোক যাঁরা, তাঁদের মনও রাঙা মাটির মতো। চাষবাস করেন হাসিমুখে। আসলে কৃষক না ফসল ফলালে আমাদের দু’বেলা খাবার জুটত না।’’ বর্ধমানের ল্যাংচা, সীতাভোগ এবং মিহিদানার খ্যাতি আরোও ব্যাপক ভাবে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে যাওয়ার পাশাপাশি বর্ধমানে বড় হোটেল এবং দোকান তৈরি করার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

mamata 29 1

এরপর বর্ধমানের জন্য বেশ কিছু প্রকল্পের সম্ভাবনার কথা বলার পাশাপাশি তিনি জানান নতুন সেতু তৈরির পরিকল্পনা করা হবে যা কালনার সঙ্গে শান্তিপুরের সংযোগ ঘটাতে পারবে। এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর আরোও সংযোজন, ‘‘অনেক কাজ হয়েছে। আরও কাজ হবে। ভাবতেও পারবেন না, এত কাজ কখন হল!’’ সব মিলিয়ে বলা বাহুল্য, ঢালাও কাজের প্রতিশ্রুতি দেন নেত্রী।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর