মৎস্যজীবী সহ একাধিক ভারতীয় ট্রলার আটক করলো বাংলাদেশ পুলিশ,চাঞ্চল্য কাকদ্বীপ অঞ্চল জুড়ে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : জল সীমানা বুঝতে না পেরেই এই বাধলো বিপত্তি। ইলিশ ধরতে পারার খুশির মুহূর্তটা যেন মুহূর্তে হয়ে গেল ম্লান। জল সীমানাকে লঙ্ঘন করে ইলিশ ধরতে গিয়ে বাংলাদেশী উপকূলরক্ষী বাহিনী কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ল ৪ টি ট্রলার সহ ৬৮ জন মৎ্যজীবী। পরে অবশ্য বাংলাদেশের পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে। এর পাশাপাশি মৎস্য দপ্তরের কাছে খবর দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে বাঘেরহাট জেলার মঙ্গলাপুর থানায় রয়েছেন ধৃত মৎস্যজীবীরা। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়াল কাকদ্বীপে।

জানা গিয়েছে, গত ২৪ শে জুন ভারতীয় সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশ সীমানায় ঢুকে পড়েন কাকদ্বীপের কিছু মৎসজীবী। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ “বাংলাদেশে এখনও ইলিশ ধরার মরশুম শুরু হয়নি , কিন্তু কাকদ্বীপের কিছু ট্রলার বেআইনি ভাবে এখানে মাছ ধরছিল।” এদিকে, মৎস্যজীবীদের দাবি , জলের ঢেউয়ে ট্রলার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভারতীয় সীমানা পেরিয়ে যেতেই এই বিপত্তি। আবার মাছের জালও জলের স্রোতে দূরে চলে যায়। ট্রলার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তারা সীমানা অতিক্রম করেছে তা বুঝে ওঠার আগেই টহলরত পুলিশ তাদের পাকড়াও করে আটক করে।

   

জেলার এক আধিকারিক জানান যাতে মৎস্যজীবীরা জলসীমানা অতিক্রম না করেন তার জন্য প্রতিনিয়তই প্রচার চালানো হয় থাকে, কিন্তু তাতেও কেন এই বিপত্তি তা খতিয়ে দেখা হবে।এদিকে মৎস্য উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক বিজন মাইতি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে , “হয়তো এমন সময় তাদের ছাড়া হল , যখন মাছ ধরার মরশুম ই শেষ ।”jpg 20220630 114222 0000

দ্রুত ভারতীয় মৎস্যীজিবীদের মুক্তির দাবি করছেন মৎস্য উন্নয়ন আধিকারিকেরা। জেলা প্রশাসন কেও এই বিষয়ে জানানো হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর