বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পয়গম্বরকে নিয়ে করা প্রাক্তন বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যকে করেছিলেন সমর্থন আর সেই অপরাধে রাজস্থানের উদয়পুর বাসিন্দা কানহাইয়া লালকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। বর্তমানে এই ঘটনায় গোটা রাজস্থান জুড়ে সরগরম হয়ে রয়েছে পরিস্থিতি। এমনকি কানহাইয়ার পরিবারের কি হবে, তা নিয়ে বর্তমানে প্রশ্ন চিহ্ন উঠে গিয়েছে। সম্প্রতি তাদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসার কথা ঘোষণা করেছিলেন বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। এই প্রসঙ্গে একটি তহবিল পর্যন্ত খোলেন তিনি আর গত 24 ঘন্টার মধ্যে সেখানে সাহায্য করলেন প্রায় 12 হাজারের ওপর মানুষ। বর্তমানে সব মিলিয়ে 1.35 কোটি টাকা অনুদান উঠে গিয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে এদিন বিজেপি নেতা বলেন, “2020 সালে দিল্লি হিংসাএ ঘটনায় হিন্দু পরিবারগুলি বহু পরিমাণে ক্ষতির মুখ দেখে আর সেখান থেকেই এই তহবিল সংগ্রহ করার প্ল্যানটি মাথায় আসে। আসলে বর্তমান সময়ে এমন এক কঠিন পরিস্থিতি এসে দাঁড়িয়েছে, যখন মানুষ হিন্দুদের দুর্ভোগ সম্পর্কে বেশি ভাবেনা। তাই ওই ঘটনার পর থেকে আমরা নিজেরাই মানুষের সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসি। রাজস্থানের একটি মন্দিরে হিন্দু পুরোহিতকে খুন করা হয়। তাদেরকে আমরা সাহায্য করি আর বর্তমানে কানহাইয়া লালকে যেভাবে খুন করা হয়েছে, তারপর ওর পরিবারের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠে গিয়েছিল। তবে আমাদের খোলা তহবিলে মাত্র 24 ঘন্টার মধ্যেই মানুষ 1.35 কোটি টাকা সহায়তা করেছে।”
এছাড়াও এদিন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট সরকারের পক্ষ থেকে মৃতের পরিবারকে চাকরি সহ 50 লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। এদিন বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র বলেন, “সন্ত্রাসের সামনে আমাদের মাথা নিচু করলে চলবে না। একটা সময় যখন দেশে হিন্দু পরিবাররা ভাবতে শুরু করেছিল যে, তাদের পাশে কেউ দাঁড়ানোর নেই, সেই সময় আমরা এগিয়ে আসি। এক্ষেত্রে মানুষ যেভাবে সহায়তা করেছে, তার জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই।”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রকাশ্য দিবালোকে কানহাইয়া লাল নামে বছর চল্লিশের এক ব্যক্তিকে গলার নলি কেটে কুপিয়ে খুন করে হত্যাকারীরা। শুধু তাই নয়, হত্যাকারীরা হাড়হিম করা ওই দৃশ্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করা হয়। দুই হত্যাকারীর তরফে আলাদা আলাদা ভাবে দুটো ভিডিও পোস্ট করা হয়। জানা যায় যে, পেশায় দর্জি রাজস্থানের ওই ব্যক্তি দিন দশেক আগে নূপুর শর্মার সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছিলেন। ফলে ওই পোস্ট ঘিরে আপত্তির কারণে ধর্মান্ধ ব্যক্তিরা এই খুন করে বলে জানা যায়। বর্তমানে এই ঘটনা ঘিরে সরগরম হয়ে পড়েছে গোটা রাজস্থান। তবে এই বিতর্ক শেষপর্যন্ত কোথায় গিয়ে থামে, সেটাই দেখার।