বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রথযাত্রার পবিত্র উৎসব উপলক্ষ্যে রথের দড়িতে টান দেন অনেকেই। গতকালের এই উৎসবে বাদ যাননি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও। উদাহরণ স্বরূপ গতকাল রথের অনুষ্ঠানে সামিল হওয়ার জন্য হাওড়ায় পৌঁছে যান বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে রথের দড়িতে টান দেওয়ার পাশাপাশি রাজ্যের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে একাধিক মন্তব্য করেন তিনি। এমনকি নূপুর শর্মা বিতর্কেও মুখ খোলেন শুভেন্দু।
বহু মানুষের সমাগম মাঝে বিজেপি নেতার দাবি, “পশ্চিমবঙ্গ আগামী সময়ে উত্তরপ্রদেশ এবং অসম হবে। গুজরাট রাজ্যের মত আমাদের এখানেও স্কুলে পড়ুয়াদের গীতা পড়ানো হবে।” তাঁর এই মন্তব্য নতুন করে জল্পনার সৃষ্টি করেছে। এছাড়াও পয়গম্বর প্রসঙ্গে এদিন বেশ আক্রমণাত্মক হয়ে যাচ্ছে দেখা যায় বিজেপি নেতাকে।
গতকাল রথযাত্রা উৎসবে সামিল হতে হাওড়ার সাঁকরাইলের নবঘরা এলাকায় পৌঁছে যান শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে রথের দড়ি টানার পাশাপাশি কীর্তনে সামিল হতে দেখা যায় তাঁকে। এর পরেই তিনি জানান, “কোন এক সোমবার দেখে আমি তারকেশ্বরে বাবার মাথায় জল ঢালার উদ্দেশ্যে রওনা দেব। আপনারা সকলে ঐক্য বজায় রাখুন। আগামী সময়ে পশ্চিমবঙ্গ উত্তরপ্রদেশ এবং অসমের মতো হতে চলেছে। এখানে গুজরাটের মতই স্কুলে পড়ুয়াদের গীতা পড়ানো হবে।”
সনাতন ধর্ম প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা বলেন, “সনাতন মানে ভারতবর্ষ আর ভারতবর্ষ মানেই হলো সনাতন। স্বামী বিবেকানন্দ আমাদের শিখিয়েছেন যে, কিভাবে নিজ ধর্মের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হয় এবং একইসঙ্গে অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা করতে হয়। সেই সঙ্গে গীতা আমাদের শিক্ষা দিয়েছে যে, কাউকে বিষ না দিয়ে বরং সমস্ত জিনিস হজম করা উচিত। তবে কেউ যদি আমাদের এক গালে থাপ্পড় মেরে যায়, তবে তার প্রতিবাদ করা উচিত। এক্ষেত্রে অন্য আরেক গাল বাড়িয়ে দিলে চলবে না।”
এছাড়াও হাওড়ার অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে এদিন শুভেন্দুর গলায় উঠে আসে নূপুর শর্মা প্রসঙ্গ। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে প্রাক্তন বিজেপি নেত্রীকে তীব্র ভর্ৎসনা করা হয়। এদিন বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমাদের শিবকে নিয়ে যখন কেউ কোন খারাপ মন্তব্য করে, তখন আমরা চুপ করে বসে থাকি না। এমনকি বাংলাদেশেও গত বছর যখন মা দুর্গার বিসর্জন নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল, তখন আমরা মিছিল করেছিলাম। কিন্তু গাড়ি পোড়ানো অথবা ট্রেন ভাঙার মত অপরাধজনক কাজ করিনি। কোনও বিষয়ে খারাপ লাগলে প্রতিবাদ করা উচিত কিন্তু তার জন্য অবরোধ কিংবা গাড়ি ভাঙচুর করা কখনো কাম্য নয়।”