বন্দুক উঁচিয়ে দলবল নিয়ে তৃণমূল নেতাকে পেটালেন আরেক তৃণমূল নেতা! অভিযোগ দায়ের থানায়

বাংলাহান্ট ডেস্ক : গোষ্ঠী কোন্দল যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার করে দলের মধ্যে ঐক্যের কথা বললেও বহু ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, দলের মধ্যে এক নেতা অন্য নেতার দিকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করছেন। এমনকি বহু ক্ষেত্রেই মারামারির অভিযোগও প্রকাশ্যে আসছে। এবার তেমন একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বীরভূমের শান্তিনিকেতন।

জানা গিয়েছে, আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে নিয়ে প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতির ছেলে ও তাঁর অনুগামীরা তাদেরই এলাকার তৃণমূল নেতা বাবু দাসের উপর চড়াও হন। এমনকি বেধড়ক মারধর পর্যন্ত করা হয়। এরপরে আক্রান্ত তৃণমূল নেতা অভিযোগ দায়ের করেন শান্তিনিকেতন থানায়। যদিও রাজনৈতিক কারণে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে বলেই দাবি অভিযুক্তদের।

রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের ফাইভ মেন কমিটির সদস্য আক্রান্ত বাবু দাসের দাবি, শুক্রবার বিনুড়িয়া গ্রামে দলীয় কর্মসূচিতে যাওয়ার সময় তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি কাজি নুরুল হুদার ছেলে রাহুল কাজি দলবল নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র-সমেত তাকে আক্রমণ করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ জানাতে এসে তিনি বলেন, ‘দলের কর্মসূচিতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় নুরুল হুদার ছেলে ও তাঁর দলবল। আমাকে মারধর করে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে।’

অন্যদিকে, তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করার সাথে সাথে সাফ জানিয়ে দেন, ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। এর সঙ্গে আমি কোনওভাবেই যুক্ত নই।’ পাশাপাশি, তার ছেলে অভিযুক্ত রাহুল কাজির বক্তব্য, ‘দায়িত্বে না থাকার পরেও বাবু দাসই দলবল নিয়ে এসে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে।’ এমনকি বাবু দাস ওই অঞ্চলে মিটিং কীভাবে করছেন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অভিযুক্ত।

যদিও গোটা ঘটনায় বিজেপি রীতিমতো কটাক্ষের তীর ছুঁড়ে দিয়েছে শাসকদলের দিকে। বোলপুর শহরের বিজেপির সহ সভাপতি কাঞ্চন ঘোষ বলেন, ‘টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এটা। এ ওকে মারছে। ও একে মারছে।’ যদিও শাসক দলের বিধায়ক ও মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার তরফে এমন গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ কে অস্বীকার করা হয়েছে।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর