বাংলাহান্ট ডেস্ক : কবির ভাষায় বলতে গেলে এ যেন “বাবুলবাবুর প্রত্যাবর্তন।”দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুকে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। সম্প্রতি বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান, তারপর বিভিন্ন মহল সমালোচনার ঝড়। বাবুল সুপ্রিয় উপর দিয়ে যে একটা বড়সড় মানসিক টানাপোড়েন গেছে তা বলাই যায়।
বিজেপি ছাড়ার পর ছেড়েছেন নিজের সাংসদ পদও। নতুনভাবে শুরু করতে চেয়েছেন রাজনৈতিক কেরিয়ার। কিন্তু দলবদলকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা। একটা সময়ে নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ থাকতেন বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু কিছুদিন আগে থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আনাগোনা বন্ধ হয়ে যায় তার। আজ একবার আবার ফেসবুকে অ্যাকটিভ হয়ে তার প্রাক্তন দল বিজেপিকে এক হাত নিলেন তিনি।
বাবুল লিখেছেন, আজ অনেকদিন পর একটিভ হলাম পক্ষে-বিপক্ষে কিছু কমেন্ট পড়ব বলে। ফেসবুক এমন একটি জায়গা যেখানে সবাই তার মনের ভাব প্রকাশ করবে। বাবুলের কথায় এখানে অনেকেই ঘৃণা, বিরোধ করবে। তাতে তার কোন আপত্তি নেই। কিন্তু সেই বিরক্তি প্রকাশের ভাষা যদি খুব খারাপ হয় তাহলে তার টিম তাকে ব্লক করবে। এতে তিনি অন্যায় কিছু দেখেন না।
কিশোর কুমারের বিখ্যাত গান “কুছতো লোগ কহেঙ্গে” এর লাইন উল্লেখ করে তিনি বলেছেন অনেকেই অনেক কিছু বলছে তাতে তার কিছু যায় আসে না, কারণ মানুষের কাজ হলো বলা।
এর সাথে সাথে ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, চার বছর তার সাথে অন্যায় করেছে বিজেপি দল। তার মতো অনেক বড় নেতাকে তারা কেবিনেটে জায়গা দেয়নি। পরোক্ষভাবে বিজেপি বাঙালি জাতিকে অপমান করেছে। সেই অপমান না সইতে পেরেই তিনি দলত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন। এর সাথে তার আরো বক্তব্য, তিনি চাইলে স্বচ্ছন্দে সাংসদ পদে থাকতে পারতেন। কিন্তু বহু বছর আগে যেমন ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দিয়েছিল মন সায় না দেওয়ার জন্য ঠিক তেমনি মনের ইচ্ছাতেই পদ ছেড়েছেন তিনি। বিজেপিকে একহাত নিয়ে বাবুলের বক্তব্য, তার অতীত দল যেভাবে বাংলার সাথে অবমাননা করেছে তা তিনি কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি তাই তার দলত্যাগ।
এর পাশাপাশি তার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে তিনি বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে তার প্রশংসা করেছেন ও পাশে থেকেছেন তার জন্য তিনি গর্বিত। বালিগঞ্জে এলাকার মানুষ যেভাবে ভোট দিয়ে তাকে জয়ী করেছে তা তিনি কখনোই ভুলবেন না। তিনি তার দায়িত্ব মত সেই এলাকার মানুষের জন্য কাজ করে যাবেন। সবশেষে বন্ধু ও বিরোধী সকল প্রকার মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে গানের লাইনে বলেছেন, “kuch to log kehete rahenge”