এ কেমন অসুখ! অন্ডকোষে সারাক্ষণ হচ্ছে বাঁশির মত শব্দ, মহাসমস্যায় ৭২ বছরের বৃদ্ধ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে যত দিন এগোচ্ছে ততই সব নিত্য-নতুন অসুখের উদ্রেক ঘটছে বিশ্বজুড়ে। এমনকি, সেই অদ্ভুত সব অসুখের উপসর্গগুলিকেও দেখে রীতিমতো চোখ কপালে উঠছে চিকিৎসকদের। সর্বোপরি এইসব অসুখগুলির ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পেলে সেগুলি হয়ে উঠতে পারে প্রাণঘাতীও। ঠিক সেই রেশ বজায় রেখেই এবার আরও একটি বিরল অসুখের প্রসঙ্গ সামনে এসেছে।

জানা গিয়েছে, আমেরিকার ওহিও শহরের ৭২ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ এক আজব অসুখে আক্রান্ত হয়েছেন। যার জেরে তাঁর অণ্ডকোষ থেকে বেরিয়ে আসছে বাঁশির মতো শব্দ! শুধু তাই নয়, ওই শব্দ অবিরামভাবেই হয়ে চলেছে তাঁর শরীরে। হ্যাঁ, শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও ঠিক এইরকমই এক নজিরবিহীন অসুখে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি।

মূলত, তিনি নিজেও এই ঘটনায় কার্যত চমকে যান। সর্বোপরি জানা গিয়েছে যে, সারা বিশ্বে ওই বৃদ্ধই প্রথম এমন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। আপাতত, চিকিৎসকরা এই অদ্ভুত অসুখটিকে “হুইসলিং স্ক্রোটাম” হিসেবে অভিহিত করেছেন। পাশাপাশি, ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন মার্কিন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

ওই প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে যে, ওই বৃদ্ধ প্রবল শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। আর তার সাথে সাথেই তাঁর অণ্ডকোষ থেকে বাঁশির মত অবিরাম শব্দ হচ্ছিল। এমতাবস্থায়, বৃদ্ধের ওই শারীরিক অবস্থা দেখে চিকিৎসকরা এক্স-রে’র মাধ্যমে জানতে পারেন যে, ওই বৃদ্ধের বুকের পাশাপাশি, শরীরে বিভিন্ন অংশে বাতাস ভরা রয়েছে। এছাড়াও, তাঁর ফুসফুসের অবস্থাও অত্যন্ত খারাপ থাকায় সেটির উপর ক্রমশ চাপ বাড়ছিল।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রায় মাস পাঁচেক আগেই ওই বৃৃদ্ধের অণ্ডকোষে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও, অণ্ডকোষ ফুলে যাওয়ায় অপারেশন করেন চিকিৎসকরা। এদিকে, অপারেশনের ক্ষতস্থান উন্মুক্ত থাকায় সেখান থেকেই ক্রমাগত বেরিয়ে আসছিল বাতাস। এমতাবস্থায়, উপায় না পেয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা দ্রুত ওই বৃদ্ধের দু’টি অন্ডকোষই কেটে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

c2 1 1

তারপরেই জানা যায় যে, অস্ত্রোপচারের পর ওই বৃদ্ধের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয় এবং তিনি পূর্বের তুলনায় অনেকটাই সুস্থ রয়েছেন। এমনকি, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে, সঠিক সময়ে অস্ত্রোপচার না হলে তাঁর প্রাণসংশয় পর্যন্ত হতে পারত। যদিও, ঠিক কোন কারণে ওই বৃদ্ধের অন্ডকোষ দিয়ে বাঁশির আওয়াজের মত বাতাস বেরিয়ে আসছিল তা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না চিকিৎসকেরা।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর