বাংলাহান্ট ডেস্ক : এগিয়ে আসছে লোকসভা নির্বাচনের সময়। স্বাভাবিকভাবেই বিরোধী মুখের জন্য বহুবার উঠে এসেছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম (Mamata Banerjee)। কিন্তু আমবাঙালির ঘরের মেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একেবারেই প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার হতে চান না।
এবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সাফ জানিয়ে দিলেন, প্রধানমন্ত্রীর মসনদে বসার কোন আগ্রহই তার নেই। বরং তিনি মানুষের হাতের নাগালেই থাকতে চান বলেও উল্লেখ করেন। পাশাপাশি তৃণমূল সুপ্রিমের বক্তব্য, মানুষের মুখে হাসি ফোটানো এবং দেশের উন্নয়নই তার প্রধান উদ্দেশ্য।
সোমবার কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে বিরোধী ঐক্য নিয়ে মমতাকে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও যখন ভবিষ্যতের নেতা হওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখছেন তখন বিরোধী দলগুলিকে এককাট্টা করতে কংগ্রেসের ভূমিকার প্রসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো জানান, ‘আমি প্রথমেই বলে দিচ্ছি যে আমার বড় কোনও পদ বা বড় কোনও জিনিসের প্রতি মোহ নেই।’
আর সেই কারণেই নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিরোধী দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টায় বাংলা মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে সংযুক্ত করতে চান না বলেও উল্লেখ করেন। তবে একই সঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো একথাও বলেন, ‘কখনও কখনও আমাদের কোনও কিছু উৎসর্গ করতে হয়। যদি প্রয়োজন পড়ে, তাহলে কাউকে বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধতে হয়।’
এছাড়াও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে কতটা উৎসাহিত সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি পরিস্কার করে উল্লেখ করেন, ‘আমার একটাই বিষয়েই মনোযাগ আছে – আমার দেশ অগ্রগতি, আমার দেশ উন্নয়ন, আমার যুব সম্প্রদায় কর্মসংস্থানের সুযোগ, মহিলাদের ক্ষমতায়ন, কৃষকদের হাসি, শ্রমিকদের হাসি, সারা বিশ্বের আমাদের দেশের দারুণ ভাবমূর্তি গড়ে ওঠা এবং সবাই মিলে জোটবদ্ধ ভারত গড়ে তোলা।’ ফলত, নেত্রীর কথাতেই স্পষ্ট যে, আপাতত দেশের মানুষের উন্নতিসাধনের দিকেই তিনি নজর রাখতে চান, প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে নয়।