বাবা-মেয়ের মতো সম্পর্ক ছিল, ‘বালিকা বধূ’র সেটে মৌসুমীকে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন তরুণ মজুমদার

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভারতীয় চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে আরেক অন্ধকারময় দিন। দীর্ঘ রোগভোগের পর প্রয়াত হলেন বর্ষীয়ান পরিচালক তরুণ মজুমদার (Tarun Majumdar)। সোমবার সকালেই হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত‍্যাগ করেন তিনি। নক্ষত্র পতনের শোকে মূহ‍্যমান ইন্ডাস্ট্রি। ভেঙে পড়েছেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ‍্যায়ও (Mousumi Chatterjee)।

তরুণ মজুমদার পরিচালিত ‘বালিকা বধূ’র হাত ধরেই অভিনয় জগতে পদার্পণ মৌসুমীর। প্রথম ছবিই জনপ্রিয়তা দিয়েছিল তাঁকে। যাঁর হাত ধরে চিনতে শেখা অভিনয় জগৎটাকে তাঁকেই আজ হারিয়ে ফেললেন মৌসুমী। সংবাদ মাধ‍্যমকে অভিনেত্রী বললেন, আরেক বাবাকে হারালেন তিনি আজ।


পরিচালক তরুণ মজুমদারকে নিজের বাবার আসনেই বসিয়েছিলেন মৌসুমী চট্টোপাধ‍্যায়। অভিনেত্রীকেও সন্তান স্নেহ দিতেন পরিচালক। কথায় কথায় প্রথম ছবির স্মৃতিতে ডুব দেন মৌসুমী। বালিকা বধূ করার সময়ে তাঁর বয়স অনেক কম‌। শুটিংয়ের সময়ে খুব দুষ্টুমি করতেন সেটে। বকা দিতেন পরিচালক। একবার নাকি কান ধরে দাঁড়ও করিয়ে রেখেছিলেন।

সেই ছোট্ট মেয়েই পরে নামজাদা অভিনেত্রী হন। বাংলার পাশাপাশি হিন্দিতেও চুটিয়ে অভিনয় করেছেন মৌসুমী চট্টোপাধ‍্যায়। মুম্বইয়েই বাস তাঁর।জানালেন, বড় মেয়ে চলে যাওয়ার পর স্বামীকে একা রেখে এ শহরে আসার ভরসা পান না অভিনেত্রী। তাই আসা হয় না।

সেই তিন বছর আগে একবার কলকাতায় এসেছিলেন মৌসুমী চট্টোপাধ‍্যায়। সেবারেও দেখা হয়নি তরুণ মজুমদারের সঙ্গে। তবে সন্ধ‍্যা রায়ের সঙ্গে দেখা হয়েছিল তাঁর। পুরনো স্মৃতিগুলো এখন হাতড়ে বেড়ানো ছাড়া আর উপায় নেই কোনো।

গত ১৪ জুন কিডনির সমস‍্যা সহ একাধিক অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তরুণ মজুমদার। গত ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কিডনির সমস‍্যায় ভুগছিলেন তিনি। পাশাপাশি ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্টের মতো সমস‍্যাও ছিল তাঁর।

মাঝে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছিল পরিচালকের। কিন্তু সে অবস্থা বেশিদিন থাকেনি। আবারো অসুস্থ হয়ে পড়াতে উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে। রবিবার ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত‍্যাগ করেন পরিচালক।

X