বাংলাহান্ট ডেস্ক : পরীক্ষা তো বছরে বহুবারই দেওয়া যায়, কিন্তু তৃণমূলের শহীদ মিছিল তো হয় বছরে একবারই! তাই পরীক্ষা ফেলে তৃণমূলের শহীদ দিবসের প্রস্তুতিতে ছুটল ছাত্রছাত্রীর একাংশ। এদিকে, সঠিক সময়ে পরীক্ষার খাতা জমা করতে না পারায় পরীক্ষার খাতা নিতে রাজি ছিলেন না কলেজ কর্তৃপক্ষ , আর তাতেই সূচনা হল বিক্ষোভের। আটক ও ঘেরাও হলেন অধ্যক্ষ। ঠিক এমনটাই ঘটেছে মালদা জেলার চাঁচল থানার অন্তর্গত চাঁচল কলেজে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শেষ অবধি হস্তক্ষেপ করতে হল চাঁচল থানার বিশাল পুলিশ বাহিনীকে।
মিছিলের মাধ্যমে আগামী ২১ জুলাই ,শহীদ দিবস উপলক্ষে হওয়া কর্মসূচি নিয়ে প্রচার চালাচ্ছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ও কর্মীরা। সেই মিছিলে যোগদান করতে গিয়েই অনলাইন পরীক্ষার খাতা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দিতে পারেনি চাঁচল কলেজ এর চতুর্থ ও ষষ্ঠ সেমিস্টার এর ছাত্রছাত্রীরা। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অজিত বিশ্বাস এর নির্দেশে সেই ছাত্রছাত্রীদের অনলাইন পরীক্ষার খাতা গ্রহণ করা হবেনা বলে জানানো হয় । তাতেই ছাত্রছাত্রী রা দ্বারস্থ হয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা কর্মীদের কাছে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা ঘেরাও করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অজিত বিশ্বাসকে । ঘন্টাখানেক ধরে চলে বিক্ষোভ । সৃষ্টি হয় চরম বিশৃঙ্খলা ও সেই বিশৃঙ্খলা আয়ত্তে আনতে হস্তক্ষেপ করেন চাঁচল থানার পুলিশ বাহিনী।
যদিও অজিতবাবু এই ঘেরাও নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান প্রাথমিক ভাবে খাতা দেরিতে জমা দেওয়ার কারণে একটু ঝামেলা হলেও পরে সেই খাতাগুলো জমা নেওয়া হয়েছে। তবে ছাত্রছাত্রীদের মিছিলে থাকার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বাবু সরকার , তার কথায় “তৃণমূলের মিছিলে যোগদান করা ছাত্রছাত্রীদের কাছে আবেগের মত”। এই ঘটনাকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা প্রসেনজিৎ শর্মা বলেন ” ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত কে অন্ধকারের মুখে ঠেলে দিতে চাইছে তৃণমূল”।
প্রসঙ্গত , গত দুইবছরের করোনাকালীন বাধানিষেধ এর জন্য ২১ জুলাই কলকাতার ধর্মতলার তৃণমূলের মহা সমাবেশ আয়োজন করা সম্ভব পর হয়নি । তাই এই বছর বেশ ঘটা করেই শহীদ দিবসের মহা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে কলকাতায়।