বাংলাহান্ট ডেস্ক : ‘উদয়পুরে কানহাইয়া লালের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ি নূপুর শর্মা। এবং তার উচিত দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া।’ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পাড়ডিওয়ালার এমনই মন্তব্য করেছিলেন। এবার রায় নিয়েই তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক।
কী সেই বিতর্ক?
এখনও পর্যন্ত ১৫ জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, ৭৭ জন অবসরপ্রাপ্ত আমলা, ২৫ জন সশস্ত্র সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক প্রকাশ্যেই এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন। শুধু তাই নয়, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার কাছে খোলা চিঠিও পাঠিয়েছেন তাঁরা।
নূপুর শর্মাই দায়ি, দাবি ডিভিশন বেঞ্চের
নূপুর শর্মার করা মন্তব্যের বিরুদ্ধে সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন থানায় একাধিক এফআইআর দায়ের করা হয়। এই বিষয়ে নূপুর শর্মা মহামান্য আদালতের কাছে আপিল করেন যেন সমস্ত মামলাকে একসঙ্গে দিল্লিতে নিয়ে আসা হয়। নূপুরের এই দাবির জবাবে ডিভিশন বেঞ্চ কার্যত তিরস্কার করে তাঁকে। ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশের এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির জন্য নূপুরই দায়ি। রাজনৈতিক সুবিধা পাওয়ার এই ধরনের বক্তব্য দেশে আগুন জ্বালছে। শুধু তাই নয়, উদয়পুরে কানহাইয়া লালের নৃশংস হত্যায় পরোক্ষভাবে নূপুরকেই দায়ি করে ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, ‘নূপুর শর্মা একটি রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র ছিলেন। তিনি হয়ত ভেবেছেন তিনি যা খুশি বলবেন, বর তাঁর দল তাঁকে সমর্থন করবে। কিন্ত এটা ঠিক নয়। একটা রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র হিসাবে তিনি যা খুশি তাই বলতে পারেন না’ এই রায়ের পরই বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে বিভিন্ন মহল।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে লেখা খোলা চিঠিতে বলা হয়, ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য খুবই হতাশাজনক। এই মন্তব্য সম্পূর্ণ ভাবেই বিচার বিভাগের সততার পরিপন্থী।