বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক সময়ে ‘কালী’ তথ্যচিত্র সম্পর্কিত বিতর্কে উত্তাল হয়ে পড়েছে গোটা দেশ। সিগারেট হাতে মা কালীর একটি পোস্টার ভাইরাল হওয়ার পর থেকে তার বিরোধিতায় নেমেছে অধিকাংশ মানুষ। তবে এর মাঝেই আবার এই ঘটনাকে সমর্থন করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে। যদিও সেই প্রসঙ্গে তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি দল আর এবার মহুয়া দ্বারা তৃণমূলের টুইটার হ্যান্ডেল আনফলো করার মাধ্যমে বর্তমানে প্রশ্ন উঠে গেলো, তবে কি দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করার পথে তিনি?
যদিও এখনো পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফলো করে চলেছেন মহুয়া, তবে বর্তমানে গোটা দেশজুড়ে এই বিতর্ক মাঝে তৃণমূল সাংসদের এই পদক্ষেপ যথেষ্ট উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি চিত্রপরিচালক লীনা মণিমেকলিয়ের কালী তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয় কানাডার একটি মিউজিয়ামে। এরপরেই সেই সংক্রান্ত একটি পোস্টার গোটা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে, যেখানে মা কালীকে সিগারেট খেতে দেখা যায়। এই ঘটনা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করেছে বলে অভিযোগ উঠতে থাকে দেশজুড়ে। যার পরেই পোস্টারটি সরিয়ে ফেলার দাবি জানানো হতে থাকে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় কানাডা মিউজিয়াম ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে। একইসঙ্গে দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশ পুলিশ উক্ত চিত্র পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
যদিও এই সকল ঘটনা মাঝে বর্তমানে লীনার পাশে দাঁড়িয়েছেন বেশ কিছু মানুষ, যার মধ্যে রয়েছেন মহুয়া মৈত্র। এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে তাঁর দাবি, “মা কালী তো মদ মাংসের দেবী। সেখানে যদি সিগারেট খায়, তাহলে আর কিসের আপত্তি?” এরপরেই তিনি বলেন, “আসলে এটা সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করছে, আপনি ঈশ্বরকে কিভাবে দেখছেন, সেটার ওপর। আপনি যদি ভুটান কিংবা সিকিমে যান, সেখানে ঈশ্বরকে হুইস্কি দেওয়া হয়। আবার উত্তরপ্রদেশে এগুলি খারাপ।”
তৃণমূল সাংসদদের এই মন্তব্যের পর গোটা বাংলা জুড়ে তাঁর সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। বিজেপি দল এবং তাদের নেতা সুকান্ত মজুমদারের পক্ষ থেকে তৃণমূল নেত্রীকে গ্রেপ্তারির দাবি পর্যন্ত তোলা হয়। তবে এরপরেই তৃণমূল দলের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে জানানো হয়, “দল মহুয়া মৈত্রর বক্তব্যকে কোনভাবে সমর্থন করে না। এই সম্পর্কে উনি যে মন্তব্য করেছেন, সেটা তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত।” আর এরপরেই এদিন দলের টুইটার হ্যান্ডেলকে আনফলো করলেন মহুয়া মৈত্র, যা নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে সর্বত্র।