বাংলাহান্ট ডেস্ক : উদয়পুরের দর্জি কানহাইয়া লাল হত্যাকাণ্ড (Udaipur Murder Case) মামলার তদন্তে উঠে এল দুই কৃষকের নাম। এই সাহসী কৃষক ৩৫ কিলোমিটারেরও বেশি ধাওয়া করেছিল কানহাইয়া লালের হত্যাকারীকে ধরার জন্য। যতক্ষণ না পুলিশ এসে মহম্মদ রিয়াজ ও মহম্মদ গোসকে গ্রেফতার করে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের পিছু ছাড়েনি। নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় থেকেই দুই অভিযুক্তকে তাড়া করতে শুরু করে শক্তি সিং এবং প্রহ্লাদ সিং নামে দুই যুবক। একটি সংস্থা এই দুই বাহাদুর যুবককে চাকরি এবং নগদ উপহার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে।
কিভাবে ধাওয়া করে ওই দুই যুবক?
জানা যাচ্ছে, ওই দুই হত্যাকারীকে প্রহ্লাদ এবং শক্তি তাঁদের গ্রামের মধ্যে দিয়ে পালিয়ে যেতে দেখেন। তখনই তাঁরা রিয়াজদের তাড়া করতে শুরু করে। এমনকি দু’জনের গতিবিধি সম্পর্কে বার বার পুলিশকে জানাতেও ভোলেননি শক্তি এবং প্রহ্লাদ।
দুই সাহসী যুবকের সহায়তাতেই খুব তাড়াতাড়ি পুলিশ দুই হত্যাকারীকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, কানহাইয়া লালের হত্যার কয়েক ঘন্টার মধ্যে মূল দুই অভিযুক্ত মহম্মদ রিয়াজ এবং মহম্মদ গোসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্য দুই অভিযুক্ত মোহসীন এবং আসিফকে কানহাইয়া লালের দোকানে নজরদারি চালানো এবং ষড়যন্ত্রে অংশ নেওয়ার অপরাধে গত বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়। চার অভিযুক্তই তদন্তের স্বার্থে ন্যাশানাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (NIA) হাতে রয়েছে।
এনআইএ (NIA) জানায়, গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্ত মহম্মদ মহসিনকে গত মঙ্গলবারই বিশেষ আদালতে দাখিল করা হয়। আদালত ১২ জুলাই পর্যন্ত মহসিনকে এনআইএ-র হাতে তুলে দিয়েছে। তবে শক্তি সিং এবং প্রহ্লাদ সিং-এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলেই। এই মারাত্মক হত্যাকাণ্ডের খুনিদের তাড়া করতে একটু ভয় পাননি ওই দুই যুবক। অবিরাম তারা ধাওয়া করে গেছে দুই হত্যাকারীকে। প্রত্যেক মুহুর্তের খবর জানিয়ে গেছেন পুলিশকে। তাঁদের দেখানো পথে চলেই সাফল্য পায় পুলিশ। তারা না থাকলে ওই দুই আসামিকে ধরতে পুলিশকে যথেষ্ট বেগ হত তা বলাই যায়।