বাংলাহান্ট ডেস্ক : “প্রেমেরও ফাঁদ পাতা ভুবনে, কে কোথা ধরা পড়ে কে জানে”… সত্যিই, এই বিশ্বে কে যে কখন কার প্রেমে পড়বে, তা বোধহয় বলা একেবারেই সম্ভব না। দেশ কালের সীমানা পেরিয়ে আজও মানুষ বারবার ছুটে যায় তার মনের মানুষের হাতটা একবার ধরার জন্য। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আর সেই কারণেই কাঁটাতারের বাধাকে উপেক্ষা করে সুমাইলা সূদুর পাকিস্তান থেকে পা রেখেছে ভারতের মাটিতে। জালন্ধরের কামাল কল্যাণের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতেই যাবতীয় আইনি জটিলতাকে হেলায় হারিয়েছেন এই কন্যা।
জানা গিয়েছে, কোভিডের কারণে সব পরিকল্পনা থাকার পরেও তাদের চার হাত এক করা সম্ভব হয়নি। উপরন্তু ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে জটিল প্রক্রিয়ার জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়েছিল সুমাইলাকে। শেষপর্যন্ত, সব বাধাকে হেলায় হারিয়ে আট্টারি সীমান্ত পেরিয়ে বুধবার দিনকে ভারতে ঢুকলেন এই পাকিস্তানি কন্যা। হবু স্বামী কামাল ও তার পরিবার এক্কেবারে রেডিই ছিল গল্পের নায়িকাকে বরণ করে নেওয়ার জন্য। সুমাইলার কথায়, ‘‘আমায় পুত্রবধূ হিসাবে নয়, বরং মেয়ে হিসাবেই সবাই অভ্যর্থনা জানালেন। দারুণ লাগছে। মনে হচ্ছে, আমি আমার নিজের পরিবারের সঙ্গেই রয়েছি। কেউ অচেনা নন। সকলেই আমার কাছের জন।’’ পাশাপাশি সুমাইলা আরোও জানান, ‘‘বিয়েটা ঠিক করেছে পরিবারের লোকজন। কামাল আমার তুতো ভাই। তাই মাঝেমধ্যেই কথা হত দু’জনের। ভিডিয়ো চ্যাট হত।’’ অন্যদিকে, কামাল পরিবারের কথা মত কাজ করেছে বলেও উল্লেখ করেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লাহৌরের বাসিন্দা সুমাইলা আর পঞ্জাবের জালন্ধরের বসবাসকারী কামাল তুতো ভাইবোন।কামালের গাড়ি বিক্রির দোকান রয়েছে। ভিডিও কলের মাধ্যমে ২০১৮ সালে তাদের বাগদান সুসম্পন্ন হলেও সামাজিক বিয়ে হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালে। কিন্তু কোভিডের কারণে দীর্ঘ টানাপোড়নের পর অবশেষে ২০২২ সালে তারা গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন।
এদিকে, সুমাইলা জানালেন, বার বার ভারতে ভিসার আবেদন করেও পাননি। সুমাইলার পরিবারের বহু সদস্য বিয়েতে যোগদানের ইচ্ছাপ্রকাশ করলেও শেষ পর্যন্ত আসতে পারেননি। সুমাইলার এ দেশে আসার প্রক্রিয়ায় সাহায্য করেছেন পঞ্জাবের কাদিয়ানের বাসিন্দা চৌধরি মকবুল আহমেদ। দু’জন মানুষের মিলনের ক্ষেত্রে কাঁটাতার যেন কোনও মতেই বাধা না হতে পারে সেই কারণেই ভিসার প্রক্রিয়া সহজ করার আবেদন জানিয়েছেন সুমাইলা ও মকবুল।