বাংলাহান্ট ডেস্ক: নিজের ছবির নায়িকাদেরই মেয়ের মতো ভালবাসতেন। ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন তাঁরাই শেষ কাজ করবেন। পরিচালক তরুণ মজুমদারের (Tarun Majumdar) সেই ইচ্ছাপূরণ করার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিলেন অভিনেত্রী দেবশ্রী রায় (Debasree Roy)। অসুস্থ শরীরেই শুক্রবার প্রয়াত পরিচালকের পারলৌকিক কাজ করেছেন তিনি।
গত সোমবার প্রয়াত হন কিংবদন্তি পরিচালক তরুণ মজুমদার। তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী মরণোত্তর দেহদান করা হয়েছে চিকিৎসা ক্ষেত্রে। নিয়ম অনুযায়ী শুক্রবার ছিল পরিচালকের পারলৌকিক কাজ। তরুণ মজুমদারের ইচ্ছা ছিল তাঁর তিন নায়িকা দেবশ্রী, মহুয়া রায়চৌধুরী এবং মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় তাঁর পারলৌকিক কাজ করবেন।
পরিচালককে নিজের আরেক বাবার মতোই দেখতেন দেবশ্রী। তাঁর শেষ ইচ্ছার কথা ফেলতে পারেননি অভিনেত্রী। মহুয়া রায়চৌধুরী অনেকদিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন। তাই প্রয়াত পরিচালকের শেষ ইচ্ছাপূরণের কর্তব্য সম্পূর্ণ করেছেন দেবশ্রীই। পূর্ণদাস রায় রোডে তাঁর বাড়ির পাশেই বিখ্যাত ডাকাত কালী মন্দির।
ওই মন্দিরেই প্রয়াত পরিচালকের পারলৌকিক কাজ করেছেন দেবশ্রী। উপস্থিত ছিলেন ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’ খ্যাত অভিনেতা অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার পরিচালক তরুণ মজুমদারের বোন পারলৌকিক কাজ করেছিলেন। সেখানেও উপস্থিত ছিলেন অয়ন। দেবশ্রী রায় আমন্ত্রণ পেয়েও অসুস্থতার কারণে যেতে পারেননি।
অভিনেত্রী জানান, সোমবার প্রয়াত পরিচালককে শ্রদ্ধা জানিয়ে বাড়ি ফিরে ঠাণ্ডা জলে স্নান করেছিলেন। সর্দি গর্মি লেগে গিয়েছে। সর্দি, কাশি, জ্বরে রীতিমতো কাবু হয়ে পড়েছেন অভিনেত্রী। তবুও জ্বর গায়েই পিতৃস্থানীয় পরিচালকের পারলৌকিক কাজ করেছেন দেবশ্রী।
সোমবার সকাল ১১ টা বেজে ১৭ মিনিটে এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তরুণ মজুমদার। বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।
পরিচালকের পরিবারের ইচ্ছা ছিল মরণোত্তর দেহদানের। তাই এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে পরিচালকের দেহ এনটিওয়ান স্টুডিওতে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর দেহ ফেরে আবার হাসপাতালেই।