বাংলাহান্ট ডেস্ক : একজন নয়, দু’দুজন মহিলার সাথে জোর করে বিজেপি (BJP) নেতার বিয়ে (Marriage) দিলেন গ্রামবাসীরা। তার সাথে বিজেপি নেতার কপালে জুটলো গ্রামবাসীদের বেধড়ক মারধর। যাবতীয় ঘটনায় অভিযোগের তীর উঠেছে শাসক দলের দিকে। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল (TMC)।
জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থল পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি গ্রামে। স্থানীয় সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, পেশায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী ওই বিজেপি নেতার নাম মানস কামিলা। খেজুরি থানার অন্তর্গত বাঁশ গড়া গ্রামের বাসিন্দা মানসবাবু বিজেপির কিষাণ মোর্চার সভাপতি। তার সোনার দোকানটি পাশের গ্রাম দেখালি বাজারে অবস্থিত।
ঘটনার সূত্রপাত ৩০ শে জুন, বৃহস্পতিবার। অভিযোগ বৃহস্পতিবার রাত্রে মানস সহ দুই মহিলাকে নগ্ন করে তাদের ওপর চড়াও হয় গ্রামবাসীরা। এরপর তাদেরকে বেধড়ক মারধর করে তারা। এর পাশাপাশি তাদের চুল কেটে নেওয়া হয়। ওই তিনজনকে “উত্তম মাধ্যম” দেওয়ার পর স্থানীয় একটি মন্দিরে গিয়ে জোর করে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। পরের দিন অর্থাৎ শুক্রবার সকালে ওই তিনজনকে রিকশায় চাপিয়ে মহা ধুমধাম করে গান বাজিয়ে, বাজি ফাটিয়ে, রীতিমতো উৎসব করে গ্রাম ঘোরানো হয়। এর সাথে চলে মিষ্টি ও ফল বিতরণ। এই ধরনের মধ্যযুগীয় বর্বরতা দেখে আঁতকে উঠছেন অনেকেই।
https://twitter.com/BanglaHunt/status/1545986638831951873?s=20&t=BM08uYTcWc_aZbzPkxYhHQ
এরপর গ্রামবাসীদের একাংশের চেষ্টায় বিজেপি নেতা মানস কামিলা সহ ওই দুই মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু কেন ঘটলো এইরকম ঘটনা! বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ, তৃণমূলের বুথ সভাপতি নিখিল পয়রা বিরোধী দলনেতাকে শায়েস্তা করতেই এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের বক্তব্য, ওই তিনজনকে গ্রামবাসীরা অসংলগ্ন অবস্থায় ধরে ফেলে। তাই তারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে।