ছোটবেলার ক্রাশের সঙ্গে বড়বেলায় সাক্ষাৎ, শিক্ষিকাকে প্রণাম করে ছবি তুললেন মাটির মানুষ অরিজিৎ

বাংলাহান্ট ডেস্ক: ছোটবেলায় ছিল সরল মনের ভালবাসা। বড় হতে তা বদলে যায় অসীম শ্রদ্ধায়। নিজের স্কুলের ইংরেজি শিক্ষিকাকেই অরিজিৎ সিং (Arijit Singh) বলেছিলেন, তিনিই চিরকাল তাঁর ক্রাশ থাকবেন। বয়স বেড়েছে দুজনেরই। শিক্ষিকার চুলে পাক ধরেছে। অরিজিতের এখন বিশ্বজোড়া খ‍্যাতি। কিন্তু প্রিয় শিক্ষিকার কাছে এখনো তিনি সেই পুরনো ছোট্ট অরিজিৎ।

মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের ছেলে আজ নিজের কণ্ঠের জাদুকাঠি ছ়ুঁইয়ে মোহিত করে রেখেছে দেশ তথা বিশ্ববাসীকে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে ঘুরে অনুষ্ঠান করছেন তিনি। কিন্তু তাঁর মনে শান্তি আসে শুধু নিজের জন্মভূমিতে এলে। মুম্বইতে বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি, সম্মান, মর্যাদা সবই আছে। কিন্তু তা সত্বেও নিখাদ ভালবাসা, শিকড়ের টানে বারবার জিয়াগঞ্জে ছুটে আসেন অরিজিৎ।

Arijit
বেশ কিছুদিন ধরে বিদেশে ছিলেন গায়ক। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে শো করছিলেন। গত সপ্তাহেই দেশে ফিরেছেন তিনি। আর ফিরেই সোজা চলে এসেছেন জিয়াগঞ্জে। পুরনো স্কুল রাজা বিজয় সিংহ বিদ‍্যামন্দিরে গিয়ে প্রাক্তন ইংরেজি শিক্ষিকা সুনীতা লাহিড়ীর সঙ্গে কথা বলেছেন।

একেবারে সাদামাটা পোশাক পরে স্কুলে গিয়েছিলেন অরিজিৎ। দেখে বোঝা দায় যে তিনি এখন দেশের এক নম্বর গায়ক। প্রাক্তন শিক্ষিকাকে প্রণাম করে পাশে বসেছেন। অরিজিতের মাথায় হাত রেখে ক‍্যামেরাবন্দি হয়েছেন সুনীতা লাহিড়ী। তিনি জানান, অরিজিৎ ছোট থেকেই নম্র, মিষ্টি ব‍্যবহার দিয়ে সবার মন জয় করে নিতেন। এত সাফল‍্য পেয়েও কোনো দম্ভ মনে আসতে দেননি তিনি।

Arijit 1
এর আগে অরিজিৎ জানিয়েছিলেন, তাঁর জীবনে যখন প্রেম এসেছিল তখন তিনি মোটে দশ বছরের এক বালক! ওই বয়সেও গানের মাধ‍্যমেই মনের ভাব প্রকাশ করেছিলেন অরিজিৎ। তিনি বলেছিলেন, একটা গান তখন খুব গাইতেন। সুরকার শ‍্যামল মিত্রের ছেলে সৈকত মিত্রের গাওয়া ‘ভুল ভেঙে যাবে যে দিন, তুমি আমারই হবে, তুমি আমারই হবে সে দিন।’

পরীক্ষার সময়ে গেয়েছিলেন তিনি গানটি। অরিজিৎ জানান, তাঁর সেই শিক্ষিকার নাম ছিল সুনীতা লাহিড়ী। বড় হয়ে তাঁকে বলেও ছিলেন, তিনিই চিরদিন তাঁর প্রথম ক্রাশ হয়ে থাকবেন। জিয়াগঞ্জের সঙ্গে এখনো ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে অরিজিৎ। সেখানকারই এই স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন ছেলেকে। পাশাপাশি নিজের পুরনো স্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতিও হয়েছেন অরিজিৎ।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর