বাংলাহান্ট ডেস্ক : মা-মাটি-মানুষই তাঁর আদর্শ। প্রতি মুহুর্তেই চান মাটির সঙ্গেই মিশে থাকতে। প্রশাসনিক কাজকর্ম সামলে কখনও ঢুকে শুরু করে দেন রান্না করা কখনও আবার রাস্তার ধারের দোকানে বানিয়ে ফেলেছেন চা-সিঙারা। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তিনি। আর উত্তরবঙ্গ সফরে তিনি গেলে বরাবরই বিভিন্ন চমক দেন। এবারেও তার ব্যতিক্রম হলো না। দার্জিলিংয়ে (Darjeeling) ফুচকা (Mamata Banerjee Prepares Phuchka) বানিয়ে সবাইকে খাওয়ালেন তিনি। তাঁকে ফুচকা বানাতে দেখে কচিকাঁচা থেকে বয়স্ক, সকলেই ভিড় করে করে রইলেন ফুচকা স্টলের সামনে।
উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে এ দিন মমতা রয়েছেন দার্জিলিংয়ে। সকালে জিটিএ-র শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তার পর এরিচমন্ড হিল থেকে চিড়িয়াখানায় যাওয়ার পথে এগোতে থাকেন। সেখানেই চোখে পরে ফুচকা বিক্রেতার স্টল। তখনই মাথায় আসে ফুচকা বানানোর কথা। নিজে হাতে ফুচকা বানিয়ে সকলকে খাওয়াতে শুরু করেন তিনি। ফুচকা বিক্রেতার হাতে টাকা ধরাতেও দেখা যায় তাঁর সঙ্গে থাকা এক ব্যক্তিকে।
মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেই ভিড় বাড়তে থাকে ফুচকার স্টলের সামনে। তবে তাঁদের আশাহত করেননি তিনি। প্রথমেই বোতলের জলে ভালো করে হাত ধুয়ে নেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পর চামচের ডাঁটি দিয়ে ফুচকা ভেঙে, তার মধ্যে আলু-মটরের পুর, মশলা দিয়ে ভর্তি করতে দেখা যায় তাঁকে। তার পর ছোটদের হাতে ধরা থার্মোকলের বাটিতে তা পরিবেশন করেন। এ দিন দার্জিলিং কফি হাউসের উদ্বোধনে গানও গাইলেন তিনি।
মঙ্গলবার সকালে জিটিএ-র শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বক্তৃতায় পাহাড় নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন তিনি। তাঁকে বলেন, ‘পাহাড়ের দখল নিতে আসব না আমি, পাহাড়কে ভালবাসতে আসব। আমি শুধু দেখতে চাই দার্জিলিং ইজ স্মাইলিং, কার্শিয়ং ইজ অলসো স্মাইলিং।’
জাতি-বর্ন- ধর্ম নির্বিশেষে পাহাড়ের জনপ্রতিনিধিদের নাগরিকদের স্বার্থকে স্বার্থকে রাখার বার্তা দেন মমতা। তিনি বলেন, ‘কে, কোন দলের ভুলে যান। মানুষের জন্য কাজ করুন। পাহাড় উন্নয়ন চায়, শান্তি চায়। আর সেই কারণেই জিটিএ পাহাড় চায়।’