বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সামনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (President Election)। তার পূর্বে নিজেদের পদপ্রার্থীদের জেতানোর জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে বিজেপি (BJP) এবং বিরোধী দুই শিবিরই। তবে এক্ষেত্রে বিজেপি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর (Draupadi Murmu) জয়লাভ এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। এর মাঝে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে সমর্থনের আবেদন জানাচ্ছেন দ্রৌপদীদেবী। সেই ধারা বজায় রেখে বাংলাতেও পদার্পণ করেন তিনি। তবে এদিন বিজেপির রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর শক্তি প্রদর্শনের দিন এক প্রকার মুখ পুড়লো বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের।
গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির মোট বিধায়ক সংখ্যা ৭৭ হলেও এদিন দ্রৌপদী মুর্মুর বৈঠকে মাত্র ৬৫ জনকে যোগ দিতে দেখা যায়। বিধায়কের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন সাংসদও এদিন অনুষ্ঠানে যোগদান করেননি, যা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্নচিহ্ন উঠে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, এদিন স্বামী বিবেকানন্দর বাসভবনে উপস্থিত হন দ্রৌপদী মুর্মু। এরপরে বাংলায় বিজেপির সকল এমএলএ এবং এমপির সঙ্গে সাক্ষাতের পরিকল্পনা ছিল তাঁর। তবে সেখানে অনুপস্থিত থাকেন বেশ কয়েকজন সাংসদ এবং বিধায়ক। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৭৭ বিধায়ক গত বিধানসভা ভোটে জয়লাভ করলেও ৭ জন শাসকদলে যোগদান করেছেন। ফলে ৭০ জন বিধায়ক উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও এদিন বৈঠকে ৬৮ জনকে আমন্ত্রণ জানায় বিজেপি। এক্ষেত্রে বিধায়ক অশোক লাহিড়ী অসুস্থতার জন্য ডাক পাননি এবং অপরদিকে পবন সিংকে ডাকেনি বিজেপি নেতৃত্ব। এক্ষেত্রে তাঁর বাবা অর্জুন সিং তৃণমূল দলে যোগদান করার ফলেই তাদের এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে তা সত্ত্বেও বাকি ৬৮ জন বিধায়কের মধ্যে এদিন অনুপস্থিত থাকেন নীরজ জিম্মা, বিষ্ণু প্রসাদ সিং এবং মুকুটমণি অধিকারী। তবে শুধুমাত্র তারাই নয়, এক্ষেত্রে ১৮ জন সংসদের মধ্যে দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু সিং বিস্তা এবং অপর এক সাংসদ ডাক্তার সুভাষ এদিন অনুপস্থিত ছিলেন। ফলে একদিকে যখন পাহাড়ের দুই এবং এক মতুয়া বিধায়কের অনুপস্থিতি বিজেপির অন্দরে জল্পনা সৃষ্টি করেছে, আবার অপরদিকে বৈঠকে দুই সাংসদের অনুপস্থিতিও ভালো চোখে দেখছে না ভারতীয় জনতা পার্টি।
তবে এদিন এসকল জল্পনা সরিয়ে রেখে বৈঠকে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানান দ্রৌপদী মুর্মু। এদিন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীকে পুরুলিয়ার মা দুর্গার ছৌ মুকুট তুলে দেন শুভেন্দু অধিকারী। বৈঠক শেষে তাঁর দাবি, “শুধুমাত্র বিজেপিরাই নয়, বাংলায় ২৯৪ বিধায়কেরই সমর্থন আমি আশা করছি।”