বাংলাহান্ট ডেস্ক : তাঁর পরিচয়, তিনি রাষ্ট্রপতির ছেলে। তাও আবার যেমন তেমন রাষ্ট্র নয়। একেবারে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর রাষ্ট্র আমেরিকা (America)। তিনি হান্টার বাইডেন (Hunter Biden), জো বাইডেনের (Joe Biden) ছেলে। এই হান্টারই এবার খবরের শিরোনামে। না, রাষ্ট্রপতির ছেলে হিসাবেও নন বা কোন কীর্তি গড়েও তিনি সংবাদের শিরোনামে উঠে আসেননি। বিগত বেশ কিছু দিন দরে তিনি বিশ্বে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন বিতর্কে জড়িয়ে। বলা ভাল স্ক্যাণ্ডেলে ফেঁসেছেন তিনি। আমেরিকার ন্যাশানাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA) হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে বেশ্যাবৃত্তির (Prostitution) অভিযোগ দায়ের করেেছ বলে সূত্রের খবর। জানা যাচ্ছে শেষ ৫ মাসে হান্টার প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা উড়িয়েছেন এসকর্ট সার্ভিসের (Escort Service) পিছনে।
একটি ব্যাঙ্ক চেকের সূত্র ধরে এই পুরো বিষয় সামনে আসে। জানা যাচ্ছে, হান্টার এক ইউক্রেনের মহিলাকে চেক মারফত টাকা দেন। সেই মহিলা ব্যাঙ্কে চেক ভাঙাতে গেলে সন্দেহ হয় ওই ব্যাঙ্কের কর্ম কর্তাদের। জেপি মর্গ্যান চেজ নামে এক ব্যক্তি আগেই অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল নিউইয়র্ক এবং ফ্লোরিডায় বসবাসকারী একাতেরিনা মোরেওয়া নামে এক মহিলাকে হান্টার বাইডেনের কোম্পানি থেকে হাজার হাজার ডলার দেওয়া হয়। এরপরই একাতেরিনাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখনই সামনে আসে সকল সত্য।
জো বাইডেন তাঁর ছেলের ব্যাঙ্ক একাউন্টে টাকা পাঠান
একাতেরিনার কাছ থেকে জানা যায়, তিনি হান্টার আরও টাকা পেয়েছেন বিভিন্ন এসকর্টকে তাঁর কাছে পাঠাবার জন্য। হান্টারের আইফোন থেকে কিছু ম্যাসেজ পাওয়া যায়। যেখান থেকে জানা যায়, একতারিনাকে নিজের হাতে একটি চেক কেটে দেন তিনি। ওই চেকে হান্টার মেডিকেল সার্ভিসের কথা লেখেন। জানা যায়, একতারিনা চেক মারফত তখনই টাকা তুলতে পারেন যখন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন (US President Joe Biden)তাঁর ছেলের ব্যাঙ্ক একাউন্টে টাকা পাঠান। প্রসঙ্গত, একতারিনা মোরোওয়া ‘গার্লফ্রেন্ড এক্সপেরিয়েন্স’ নামে একটি ওয়েবসাইট চালান। এই ওয়েবসাইটে ২০ বছর বা তার থেকেও কম বয়সের মহিলাদের এসকর্ট হিসাবে ব্যবহার করা হয়। ২০১৮ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের মার্চের মধ্যে প্রায় ৩০ হাজার ডলার এসকর্ট সার্ভিসের পিছনে উড়িয়েছেন হান্টার বাইডেন।