বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত সোমবার শিয়ালদহ (Sealdah) মেট্রো স্টেশনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হলেও এখনো পর্যন্ত এই প্রসঙ্গে বিতর্ক থামার কোন লক্ষণ নেই। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আগে থেকে না জানানোর কারণে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। এর আগেও একাধিকবার বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উপড়ে দেয় তারা। আর এদিন আরো একধাপ এগিয়ে মেট্রো ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সংগঠনের সদস্যরা, নেতৃত্বে ছিলেন মদন মিত্র (Madan Mitra)। শুধু তাই নয়, আগামীকাল থেকে কলকাতার (Kolkata) বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনের সামনে প্রতিবাদ চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মদনবাবু। আবার অপরদিকে বিজেপিকে বেনজির আক্রমণ করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
এদিন তৃণমূলের একাধিক কর্মী সদস্যদের নিয়ে মেট্রো ভবনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা থেকে শুরু করে আগামীকাল শহরের বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনে প্রতিবাদ কর্মসূচি চলবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তাঁর দাবি, “বিজেপির লক্ষ্য হলো আমাদেরকে শেষ করা। কিন্তু আমরা তা হতে দেবো না।”
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ” মেট্রো প্রকল্পের দরুণ একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল রেলকে। সেই সকল সমস্যার সমাধান করেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া উনি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই প্রকল্পের সূচনা হয়। তাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগে থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এমনকি উদ্বোধনের একদিন আগে রাতের বেলা কোনওমতে কার্ড দিয়ে আসা হয়েছে। এটা কি ধরনের ভদ্রতা? অতীতও ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে না জানিয়ে অনুষ্ঠান করা হয়েছে। কিন্তু আমরা দমবো না। পুজোর সময় বাংলার প্রতিটি মানুষ রাস্তায় বেরোবেন, মিছিল হবে। তখন ওদেরকে দেখিয়ে দেওয়া হবে, জনসমর্থন কি জিনিস।”
প্রসঙ্গত, গত সোমবার শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়, যেখানে মেট্রোপথের উদ্বোধন করেন বিজেপি মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। এই অনুষ্ঠানে আগে থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, যা নিয়ে গোটা বাংলায় বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। রেলের তরফ থেকে জানানো হয় যে, তারা অনুষ্ঠানের আগের দিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য একাধিক তৃণমূল বিধায়ক এবং সংসদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে এক হাত নিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বাংলাকে ওরা বোকা ভেবেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন প্রকল্পের সূচনা হলেও তাঁকে ডাকা হলো না। এটা এক ধরনের অপমান।” পরবর্তীকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগের দিন আমন্ত্রণ জানানো হলেও সেখানে উপস্থিত থাকেনি তৃণমূলের কেউই। আর বর্তমানে উদ্বোধনের পর দুদিন কেটে গেল এখনো পর্যন্ত বিতর্ক থামার কোন নাম নেই। আগামীকাল থেকে বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনের সামনে প্রতিবাদ হলে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে পৌঁছায়, সেদিকে তাকিয়ে রাজ্যবাসী।