বাংলাহান্ট ডেস্ক : আদালতে জয় হলো যোগীর (Yogi Adityanath)। উত্তরপ্রদেশ সরকার (UP Government) বুলডোজার দিয়ে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার কাজ (Bulldozer on Illegal Construction) শুরু করেছিল। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। এবার সেই সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে (Uttarpradesh) বুলডোজার দিয়ে বেআইনি ভাবে তৈরি করা সমস্ত বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
সেই বিষয়ে শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলা করে জামিয়াত উলেমা-ই-হিন্দ (Jamiat Ulama e Hind)। শুনানির দিন সেই আরজি খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ভারতের সর্বোচ্চ আদালত জানায়, যদি কোনও বাড়ি বেআইনি ভাবে তৈরি করা হয়ে থাকে তাহলে প্রশাসনের সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করা। তাই উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাজে স্থগিতাদেশ দেওয়া কোনও ভাবেই সম্ভব নয়।
আইনের ঊর্ধ্বে উঠে রায় দেওয়া আদালতের পক্ষে সম্ভব নয়: বিচারপতি বিআর গভয় এবং পিএস নরসিমার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘আমরা এই বিষয়ে আর কী রায় দিতে পারি?দেশের নাগরিক হিসাবে সকলকে আইনের শাসন মেনেই চলতে হবে। সেই আইনের ঊর্ধ্বে উঠে রায় দেওয়া আদালতের পক্ষে সম্ভব নয়। কোনও রাজ্যের প্রশাসন যদি আইন মেনে পদক্ষেপ করে, তাহলে সেখানে আমরা কখনই বাধা দিতে পারি না।’ প্রসঙ্গত, নূপুর শর্মার পয়গম্বর বিরোধী মন্তব্যকে কেন্দ্র করে হিংসাত্মক প্রতিবাদের ঝড় ওঠে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)। এবার সেই হিংসায় প্রধান অভিযুক্তের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেয় কানপুর প্রশাসন। ওই ঘটনার পরই সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে ইসলাম সংগঠন জামিয়াত।
প্রশাসনকে আইন মেনে কাজ করতে হবে: সংগঠনের পক্ষ থেকে আইনজীবী দুশ্যন্ত দাভে আদালতে সওয়াল করেন। তিনি বলেন, ‘প্রশাসনকে আইন মেনে কাজ করতে হবে। শুধুমাত্র কোনও অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ার কারণে পৌর আইনের অপপ্রয়োগ করেছে তারা। এটা চলতে পারে না। মহামান্য আদালতকে এই অন্যায়ের বিচার করতেই হবে।’ এই ঘটনাকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেও দাবি করেন আইনজীবি দাভে। এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে অসমের একটি ঘটনার কথা তুলে আনেন তিনি। জানা যায়, সেখানে খুনের দায়ে অভিযুক্ত এক ব্যক্তির বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় প্রশাসন। দাভে আরও বলেন, দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে বুলডোজার চালানোর ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দেয়। কিন্তু তার পরও বন্ধ হয়নি ভাঙার কাজ।
বুলডোজার চালাবার আগে বাড়ির মালিককে নোটিস দিয়ে জানিয়েও দেওয়া হয়: মামলার শুনানি চলার সময় কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা দাবি করেন, যথাযথ আইন মেনেই ভাঙা হয়েছে প্রত্যেকটি নির্মান। বুলডোজার চালাবার আগে বাড়ির মালিককে নোটিস দিয়ে জানিয়েও দেওয়া হয়। সুতরাং, এই বিষয়কে আদালতে টেনে এনে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের সময় নষ্ট করার কোনও মানে হয় না।’ ভারতের শীর্ষ আদালত ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, বেআইনি ভাবে তৈরি করা বাড়ি ভাঙার জন্য বুলডোজার চালাবার উপরে কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া যাবে না। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১০ অগাস্ট।