শৌচাগারের প্যানের মধ্যে লুকিয়ে বিপদ! কাছে যেতেই তেড়ে এল বৃহদাকার কেউটে, ভাইরাল ভিডিও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশ তথা বিশ্বজুড়ে প্রতিবছরই সাপের কামড়ে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারান। বিশেষত, বর্ষাকালে সাপের উপদ্রব কয়েকগুণ বেড়ে যায়। পাশাপাশি সাপকে ভয় পান না এমন মানুষও কার্যত খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বিশেষ করে তা যদি বিষধর সাপ হয় তাহলে তো আর কথাই নেই। তবে মনে রাখতে হবে যে, সর্পকুলের মধ্যে অধিকাংশ সাপ হয় বিষহীন। যদিও, বেশ কিছু সাপ আবার কেড়ে নিতে পারে মানুষের প্রাণও। যার মধ্যে কেউটে হলে অন্যতম।

কেউটে সাপের কামড়ের পর সঠিক চিকিৎসা না পেলে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই কার্যত মৃত্যু অনিবার্য। আর সেই কারণেই এই সাপগুলি থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে পছন্দ করেন সকলে। যদিও কোনো কোনো ক্ষেত্রে খাদ্যের সন্ধানে এগুলি নিজে থেকেই মানুষের খুব কাছাকাছি চলে আসে। আর তখনই ঘটে যায় বড় বিপদ। এমনিতেই এই সংক্রান্ত একাধিক ঘটনা আমরা প্রায়শই শুনতে পাই। কিন্তু এবার এক হাড়হিম করা ভিডিও সামনে এসেছে।

   

পাশাপাশি ইতিমধ্যেই তা তুমুল গতিতে ভাইরাল হতে শুরু করেছে নেটমাধ্যমে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমান সময় আমরা সকলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটাতে ভালোবাসি। পাশাপাশি সেখানে পাওয়া যায় বিভিন্ন ভাইরাল সব ভিডিও। সেগুলির মধ্যে এমন কিছু ভিডিও থাকে, যা দেখে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় সবার। এছাড়াও, সেগুলিকে দেখে সচেতনও হতে পারেন সবাই।

কি দেখা গিয়েছে ভিডিওটিতে? মূলত ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে যে, এক্কেবারে শৌচাগারের প্যানের ভেতরেই রীতিমতো ঘাপটি মেরে বসে রয়েছে এক বৃহদাকার কেউটে সাপ। অর্থাৎ, অতর্কিতে কেউ যদি ওই শৌচাগারে যেতেন তাহলে নির্ঘাত ঘটে যেতে পারত বড় বিপদ। তবে, সংশ্লিষ্ট বাড়ির মালিক কিছুটা সাহস দেখিয়ে প্রথমে ওই শৌচাগারের পাইপটি বন্ধ করে উদ্ধারকারী দলকে খবর দেন। আর তাতেই এড়ানো গিয়েছে বড় বিপদ।

তবে সাপটিকে বের করতেও যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করেন উদ্ধারকারীরা। পাশাপাশি সেটিকে অত্যন্ত রাগান্বিত অবস্থায় দেখা যায় এবং ফোঁস ফোঁস শব্দও স্পষ্টভাবে শোনা যায়। এদিকে, এই পুরো ভিডিওটি Sarpamitra Akash Jadhav নামের একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশিত হয়েছে। পাশাপাশি জানা গিয়েছে গুজরাটের একটি গ্রামীণ অঞ্চলে এই ভয়াবহ দৃশ্য সামনে এসেছে। শুধু তাই নয়, ভিডিওটিতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দর্শক সংখ্যাও। ইতিমধ্যেই প্রায় ১.৭ কোটি মানুষ ভিডিওটি দেখেছেন এবং নিজেদের প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর