শাসকদলে চওড়া ফাটল! ঋষিকে কোনওমতেই প্রধানমন্ত্রী হতে দিতে চান না বরিস জনসন

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বর্তমানে ব্রিটেনে (Britain) প্রধানমন্ত্রী পদে অন্যতম দাবিদার হয়ে উঠেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক (Rishi Sunak)। বরিস জনসনের (Boris Johnson) পদত্যাগের পর বর্তমানে ব্রিটিশদের শাসনের পথে কি বসতে চলেছে এক ভারতীয়? দ্রুত মিলবে তার উত্তর। তবে বর্তমানে পথের কাঁটা হয়ে উঠেছে দলের ভিতরকার গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আসলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এক সময় সতীর্থ ঋষি সুনাককে কোন ভাবেই মান্যতা দিতে পারছেন না বরিসম ফলে তাঁর বিরোধিতা এড়িয়ে শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশ মসনদে কে বসে, সেটাই দেখার।

সম্প্রতি ক্রিস পিনচার বিতর্ক গোটা ব্রিটেন জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং এরপরেই দেশবাসীর প্রতিবাদের জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন বরিস জনসন। এক্ষেত্রে ব্রিটিশ অর্থদপ্তর-এর প্রধান ঋষি সুনাক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন আর সেই কারণে বরিসকে পদ ছাড়তে বাধ্য হতে হয় বলে জানা গিয়েছে। এই কারণে8 এক সময়ের বন্ধুর ওপর বেজায় চটে রয়েছেন বরিস। ইতিমধ্যে লিজ ট্রাসই এবং পেনি মর্ডান্টকে সমর্থনের দিকেই ঝুঁকে রয়েছে কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান।

তবে এক্ষেত্রে পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে ভিন্ন চিত্র। বেশ কয়েকটি ভোটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করা হবে বলে খবর সামনে উঠে আসছে। এক্ষেত্রে দু দফার ভোট শেষে বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত ঋষি। এক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বী পেনির থেকে ১৮ টি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন তিনি। তবে আরও বেশ কয়েকটি নির্বাচন বাকি রয়েছে, যা শেষ হতে সেপ্টেম্বর মাস লেগে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীর পদে বসেন বরিস। এরপরেই একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। বিশেষত ক্রিস পিনচার ইস্যুতে বর্তমানে তোলপাড় হয়ে ওঠে গোটা ব্রিটেন। ক্রিস পিনচার নামে এক ব্যক্তিকে ব্রিটেনের প্রশাসনে বসালেও তাঁর বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারি সহ অন্যান্য একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। ফলে দুর্নীতিতে জড়িত এক ব্যক্তিকে কিভাবে প্রশাসনে বসালেন বরিস, সেই নিয়ে একের পর এক বিতর্ক দানা বাঁধতে থাকে। এবং এরপরেই জনগণের বিরোধ মাঝে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি। তবে এক্ষেত্রে সকল বাধা পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত ব্রিটেনের দায়িত্ব ঋষির হাতে ওঠে কিনা, সে দিকে তাকিয়ে ইংল্যান্ড সহ গোটা বিশ্ব।

X