বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রতি কেজি আলুর দাম ৪৩০ টাকা, যেখানে ডাল পেরিয়েছে ৬০০-র অঙ্ক! সাত সকালে বাজারে গিয়ে এহেন দর শুনলে যে কোন মানুষের চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। তবে বিশ্বাস না হলেও বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতির কারণে গোটা দেশের পরিস্থিতি এভাবে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। গোটা শ্রীলঙ্কা (Sri lanka) জুড়ে যে বর্তমানে ‘লঙ্কাকাণ্ড’ বেঁধেছে, তা বলা বাহুল্য। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বাজার দরে প্রতিদিন একের পর এক নতুন রেকর্ড ভেঙে চলেছে শ্রীলঙ্কা। প্রতিদিনের খাদ্যশস্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম হু-হু করে বেড়ে চলেছে, যার কারণে প্রতিবাদে নেমেছে দেশবাসী। তবে ভবিষ্যতেও দাম কমার কোন লক্ষণ নেই বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
তবে কিছু সময় পূর্বেও ছিল না এহেন পরিস্থিতি। বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতির কারণে যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে চলেছে, তাতে কদিন পর্যন্ত এই পরিস্থিতি ঠেকিয়ে রাখা যায়, তা নিয়ে সন্ধিহান সকলে। বিশেষ করে আলু এবং ডালের দাম যেভাবে বেড়ে চলেছে, তাতে কপালে হাত মধ্যবিত্তের। কিছু মাস পূর্বেও আলুর দাম প্রতি কেজিতে ২৪০ টাকা ছিল আর বর্তমানে সেই মূল্য গিয়ে পৌঁছেছে ৪৩০-এ। অপরদিকে, প্রতি কেজি ডালের দাম ১২০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৬২০ টাকা। ফলে এভাবে যদি প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়তে থাকে, তবে খাদ্য সংকট যে গোটা দেশজুড়ে ভয়াবহ রূপ নিতে চলেছে, তা বলা যায়।
শুধুমাত্র আলু কিংবা ডালই নয়, অপরদিকে চাল, চিনি, মাছ এবং ভোজ্য তেলের দামও অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। চিনির দাম প্রতি কেজিতে ৩৪০ টাকায় পৌঁছেছে, যেখানে চাল ক্রয় করতে গেলে গুনতে হচ্ছে ২২০ টাকা। উল্লেখ্য, এ সকল শ্রীলঙ্কার মুদ্রা হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে শ্রীলঙ্কার মানুষ। অতীতে দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি রাজাপক্ষে পদত্যাগ করলেও মানুষের মধ্যে ক্ষোভের আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি। প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ সামিল হয়েছে তারা। তবে এই পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে থামে, তা বলা যাচ্ছে না।
অপরদিকে, ভারতবর্ষেও দিনের পর দিন বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম বেড়ে চলেছে। এক্ষেত্রে বিরোধী দলগুলির মতে, ভবিষ্যতে ভারতের পরিস্থিতির শ্রীলঙ্কার মত হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আশঙ্কায় রয়েছে বিভিন্ন মহল। অর্থনীতিবিদদের মতে, শ্রীলঙ্কার থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত প্রতিটি দেশের।