দূর্বা ঘাস, তুলসী ও বিল্ল পত্র দ্বারা কি ভাবে নিজের গৃহস্থ বাড়িকে গড়ে তুলবেন সুখ, সমৃদ্ধি ভরা শান্তি নীড়

বাংলাহান্ট ডেস্ক : যে বাড়ির বাস্তু ভালো থাকে সে বাড়িতে উৎসব লেগেই থাকে। ইংরেজি তে VASTU কে উল্টো ভাবে লিখলে হয় UTSAV। বাস্তুশাস্ত্রে উল্লেখিত তিনশোর ও বেশী নিয়ম আছে যাকে মেনে বাড়ি করলে, বাড়ি সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও আনন্দে ভোরে যায়। এর আগের এপিসোডে আমি লিখেছি বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী ঠাকুরঘর কোন দিকে করবেন, ঠাকুর কে কী ভাবে কোনদিকে বসাবেন, আর দেবতা কে কি দিয়ে পুজো করা উচিত ও তার কী লাভ।

আজ, প্রথমে বলবো দূর্বা ঘাস নিয়ে। আমরা দূর্বা ঘাস দ্বারা গুরুদেব,গণেশ, লক্ষী ও শিব,কে পুজো করি। এই সৃষ্টিতে প্রকৃতি (ঈশ্বর ) আমাদের ঘাস, ফুল, অন্ন, গাছ ও ফল ইত্যাদি দিয়েছেন। ঘাস যাকে আমরা দূর্বা বলি, আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ঘাসের অনেক গুনাগুন উল্লেখিত আছে। আয়ুর্বেদ আমাদের বেদেরই একটি অঙ্গ। আয়ুর্বেদ কে যদি সন্ধিবিচ্ছেদ করি তাহলে আয়ু ও বেদ এই দুটি শব্দ আছে। নিজের আয়ু কে কি ভাবে বাড়াবো, শরীর কে সুস্থ রাখার ব্যাপারে আয়ুর্বেদশাস্ত্রে বলা আছে।

আমার স্লোগান : Health, Happiness & Prosperity is not by chance, it can be chosen, so minding ur body & mending ur mind.

প্রথমেই বলা হয়ছে Health, স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্যই হলো সম্পদ, Health is wealth. দুর্বার উৎপতি সমুদ্র মন্থন থেকে। সমুদ্র মন্থনে বিষ্ণুর শরীর ও ঘর্ষিত হয় তাতে বিষ্ণুর গায়ের রোমগুলি উঠে যায় আর সেগুলি সমুদ্রের তরঙ্গে ভেসে তীরে লাগে, তা থেকে দুর্বার জন্ম হলো। বিষ্ণুর থেকে উত্তপতি দূর্বাকে আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতি তে পুজো পার্বণে প্রাধান্য দিয়েছি। ভাদ্র মাসের শুক্লাষ্টমী তিথিতে, দুর্বাষ্টমী ব্রত পালন করার পর দূর্বা কে অঙ্গে ধারণ করি। এছাড়া বিপত্তারিণী পুজো তে আমরা লাল কার সুতোয় দূর্বা বেঁধে ধারণ করি। আমরা দূর্বা কে প্রার্থনা করি, হে দুর্বে, তুমি যেমন পৃথিবীতে শাখা – প্রশাখায় বিস্তৃত কর, তেমনি আমার সন্তান প্রবাহ, দেহকে অজর ও অমর কর।

অথর্ববেদে বলা হয়েছে…
“দুর্ববা…(৫/১২/৩২৭)
দূর্বা কে নারী চরিত্রের সঙ্গে উপমা দেওয়া হয়ছে স্বভাবে সে সমগোত্রীয়। দূর্বা কোনো তৃণকে বিস্তার লাভ করতে দিতে চায় না। তাই দুর্বার আরেক নাম হিংস্র। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বলা হয়েছে দূর্বা পিত্ত বিকার দূর করে। মানব ও প্রাণীর দেহে পিত্ত বিকারের দ্বারা কঠিন রোগের সৃষ্টি হয়।বিকৃতিপিত্তের প্রভাবে ৪০ প্রকারের রোগের উৎপত্তি হয় (চরক সংহিতা)। বিকারপ্রাপ্ত পিত্তের প্রকোপে শরীরে লাবণ্য ও দৃঢ়তা নস্ট করে। এছাড়া দেহে অলসতা, ক্রোধ, বদহজম প্রভৃতি আসে।
দূর্বা কে অমৃত ও বলা হয়। আগামী সংখ্যায় লিখবো দুর্বার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ভাইরাস নিরাময়র জন্য।

Pandit Shri Kalpataru
Engr., Astro – Vastu Expert
9062068595/7003191678

Sudipto

সম্পর্কিত খবর