বিনা অনুমতিতে ৯ বছর ধরে ছুটি কাটাচ্ছেন সরকারি স্কুলের শিক্ষক, প্রতি মাসে পাচ্ছেন বেতনও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রতিটি মানুষ তাঁদের কাজের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট বেতন পান। সর্বত্রই চলে আসছে এই নিয়ম। অর্থাৎ যথাযথ পরিশ্রমের ভিত্তিতেই উপার্জন করেন সকলে। কিন্তু, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা এমন একজনের কথা আপনাদের জানাবো যিনি বছরের পর বছর ধরে ছুটি নিয়েও প্রতি মাসে বেতন নিচ্ছেন। হ্যাঁ, শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও সম্প্রতি ঠিক এইরকমই এক ব্যক্তির প্রসঙ্গ সামনে এসেছে। মূলত, আলীগড়ের এক স্কুলের প্রিন্সিপাল (Principal) এই অদ্ভুত ঘটনা ঘটিয়েছেন।

৯ বছর ধরে স্কুলে যাননি তিনি: জানা গিয়েছে, আলীগড়ের একটি সরকারি স্কুলের প্রিন্সিপাল গত ৯ বছর ধরে স্কুলে যাননি। যার ফলে এতদিন ধরে ওই স্কুলটি প্রিন্সিপাল ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে। এমনকি, সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, গত ৯ বছর ধরে কারও অনুমতি ছাড়াই স্কুলে অনুপস্থিত থাকা এই প্রিন্সিপাল সরকারের কাছ থেকে প্রতি মাসে নির্ধারিত বেতনও পাচ্ছেন। আর এই ঘটনা জানতে পেরেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গিয়েছে সকলের।

এদিকে, ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট এই বিষয়টি আলীগড় জেলার ম্যাজিস্ট্রেট ইন্দ্র বিক্রম সিংয়ের নজরে এসেছে। তিনি এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, অবিলম্বে ওই অভিযুক্ত প্রিন্সিপালকে বাতিল করে বিদ্যালয়ে পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি, তদন্তের মাধ্যমে ওই প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত প্রিন্সিপালের নাম হল প্রদীপ কুমার।

২০১৪ সালে প্রিন্সিপাল হন তিনি: এই প্রসঙ্গে ২০০৭ সাল থেকে ওই একই স্কুলে কর্মরত এক শিক্ষক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “প্রদীপ কুমারকে ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে সিনিয়র হওয়ার ভিত্তিতে স্কুলের প্রিন্সিপাল হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। যদিও, প্রিন্সিপাল হওয়ার পর থেকে গত ১৩ এপ্রিল, ২০১৪ থেকে প্রদীপ কুমার কোনো নোটিশ ছাড়াই একটানা অনুপস্থিত থাকেন।”

WhatsApp Image 2022 07 19 at 11.58.05 AM

পাশাপাশি, তিনি আরও বলেন, “এই বিষয়ে বিএসএ অফিসে ক্রমাগত চিঠিপত্রের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হলেও অফিসের পক্ষ থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।” এছাড়াও, ওই শিক্ষক জানান, গত ৯ বছর যাবৎ অনুপস্থিত থাকার পরও বেতন নিচ্ছেন প্রদীপ কুমার। এমতাবস্থায়, প্রিন্সিপালের অনুপস্থিতিতে বিদ্যালয়ের পরিবেশ যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য বিদ্যালয়ের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বেদপাল নামের এক শিক্ষক।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর