বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মাঝে আর মাত্র এক দিনের অপেক্ষা আর তারপরেই ‘একুশে জুলাই’ উপলক্ষ্যে বিপুল জনসমাগমে ভাসতে চলেছে শহর কলকাতা (Kolkata)। প্রতিবছরই এই দিনটিতে ‘শহীদ দিবস’ পালন করে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। তবে গত দু’বছর করোনার (Corona) কারণে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হলেও এ বছর ৭-৮ লাখ লোক মাঝে বক্তৃতা রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তবে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের ‘শহীদ দিবস’-কে ঘিরে বেনজির আক্রমণ করে বসলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
এদিন ‘একুশে জুলাই’-এর সমাবেশকে ‘জেহাদ দিবস’ বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা। এমনকি এই সমাবেশকে সরকারি অনুষ্ঠান বলেও আখ্যা দেন তিনি। এদিন উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার দত্তপুকুরে দলের একটি কর্মসূচিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই তৃণমূল কংগ্রেস এবং তাদের শহীদ দিবস কর্মসূচিকে একহাত নেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “শহীদ দিবস সমাবেশটিকে সরকারি অনুষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। এটি শহীদ দিবস নয়, বরং একে ‘জেহাদ দিবস’ বলা চলে। এই সংক্রান্ত বহু ছবি বর্তমানে উঠে এসেছে। কোথাও পাগলু ডান্স হচ্ছে, তো কোথাও আবার ডিজে বাজানো চলছে।” তিনি আরো বলেন, “শহীদ দিবসকে শাসক দল সরকারি অনুষ্ঠানে পরিণত করে চলেছে। আপনারা সিএএ প্রতিবাদে জেহাদ দেখেছেন। গত বিধানসভা নির্বাচনের পর ভোট পরবর্তী হিংসা দেখেছে গোটা বাংলার মানুষ। নূপুর শর্মা ইস্যুতে যেভাবে সরকার জেহাদ করেছিল, তাও সকলের জানা। তাই একুশে জুলাই আপনারা সকলে সাবধানে থাকবেন।”
এরপরেই কটাক্ষের সুরে বিজেপি নেতা বলেন, “একুশে জুলাই-এর দিন আপনারা গরু বাইরে ছেড়ে রাখতে পারেন। ঐদিন কলকাতার উদ্দেশ্যে সব চোরগুলো আসতে চলেছে।”
উল্লেখ্য, শহীদ দিবস সমাবেশের পাল্টা হিসেবে উলুবেড়িয়ায় এক কর্মসূচির ডাক দেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই কর্মসূচিকে আপাতত অনুমতি দেয়নি রাজ্য পুলিশ। সেই প্রসঙ্গে এদিন কলকাতা হাইকোর্টেও ধাক্কা খেলেন বিরোধী দলনেতা। কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে একুশে জুলাই-এর পরিবর্তে অন্য কোনদিন কর্মসূচি পালন করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আর এর মাঝেই শহীদ দিবসকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারীর এহেন মন্তব্য প্রাসঙ্গিক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।