Jalpaiguri School Teacher Crisis: শিক্ষক নেই! রোজ দীর্ঘ অপেক্ষার পর পড়ুয়াদের বাড়ি ফিরতে হচ্ছে ক্লাস না করেই

বাংলাহান্ট ডেস্ক : “আছে গভীর দীর্ঘশ্বাস, আছে শিক্ষার পরিহাস/ আছে ফেল, আছে পাশ, বিরক্তি বারোমাস”…. সত্যিই সেই স্কুল যেন বড়ই বিরক্তির জায়গা পড়ুয়াদের কাছে। সেখানে ক্লাসরুম আর চক থাকলেও কোন টিচারের বকবক একেবারেই নেই। বলা বাহুল্য সেই স্কুলে কোনও শিক্ষকই নেই। এ

মনটা শুনে নিশ্চয়ই ভাবছেন, শিক্ষক বা শিক্ষিকা ছাড়া কিভাবে চলছে স্কুল? আর সারাটা দিনই বা সেখানে কি হচ্ছে? আক্ষরিক অর্থে বলতে গেলে পড়াশোনার পাঠ কার্যত উঠে গিয়েছে স্কুল থেকে। পড়ুয়ারা নিয়ম করে স্কুলে এলেও বারান্দায় চুপটি করে বসে থাকা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকছে না তাদের কাছে। শিক্ষালাভের আশায় বিদ্যালয় পা রাখা পড়ুয়ারা দীর্ঘ অপেক্ষার পর শিক্ষকদের সান্নিধ্য না পেয়েই ফিরে যাচ্ছে ঘরে। সব মিলিয়ে, নিত্যদিনের এক অব্যাবস্থার ছবি ফুটে উঠছে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের আমেরবাড়ি পানাশগুড়ি জুনিয়র হাইস্কুলে।

জানা গিয়েছে, ছ’বছর আগে তৈরি হওয়া এই জুনিয়র হাইস্কুলের গত পাঁচমাস ধরে এমনই বেহাল দশা। চূড়ান্ত অব্যবস্থার জেরে ধুঁকতে থাকা স্কুলটিতে বেশ কয়েকমাস ধরে ‘গেস্ট টিচার’ দিয়ে কাজ চালানোর চেষ্টা করা হলেও তিনি অবসর নিতেই এক্কেবারে বন্ধ হয়ে যায় পড়ুয়াদের পঠন-পাঠন। পড়ুয়ারা প্রতিদিনই নিয়ম করে স্কুলে এসে শিক্ষকের আশায় বসে থাকলেও শেষপর্যন্ত তাদের আশাহত হয়েই ফিরে যেতে হয়। ঘটনায় ক্ষুদ্ধ অভিভাবক থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারাও।

স্থানীয় বাসিন্দা এবং অভিভাবকদের অভিযোগ, বিভিন্ন জায়গায় একাধিকবার অনুরোধ করেও কোনও লাভ হয়নি। এমনকি পড়ুয়াদের টিসি সার্টিফিকেট না থাকার জন্য অন্যান্য স্কুলগুলিতেও ওই বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে না। ফলে সুরাহা তো কোনভাবেই মিলছে না, উপরন্তু সমস্যা আরও বাড়ছে। তাই দ্রুত এই স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর