বাংলাহান্ট ডেস্ক : দাবি একটাই ‘দিদি দেখবো’। তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার পর, এই প্রথম ধর্মতলায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ (TMC Martyr Day 2022)। করোনা অতিমারির ঠেলায় দুবছর ভার্চুয়ালি পালিত হয়েছে ২১ জুলাইয়ের অনুষ্ঠান। দলের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ভার্চুয়ালিই বক্তৃতা দেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এবছর আরও একবার ২১ জুলাই ধর্মতলায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে শহিদ সমাবেশ।
তৃণমূলের দাবি, বৃহস্পতিবার রেকর্ড ভিড় হতে চলেছে ধর্মতলায়। দুপুর ১২টা থেকে সভার সূচনা বলেই জানানো হয়েছে। সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মী, সমর্থকরা মিছিল করে আসতে শুরু করেছেন। ভোর ৪টে থেকে কলকাতার বেশ কিছু রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে কলকাতা পুলিস। প্রশাসন সূত্রে খবর ভোর ৪টে থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত টানা ১৭ ঘণ্টা নিয়ন্ত্রণ থাকবে যান চলাচল।
কোন কোন রাস্তা ওয়ান ওয়ে হচ্ছে? বৃহস্পতিবার ভোর ৪টে থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত যে সমস্ত রাস্তা ওয়ান ওয়ে থাকবে-
আর্মহার্স্ট স্ট্রিট (উত্তর থেকে দক্ষিণমুখী) বিধান সরণির কেশব সেন স্ট্রিট থেকে বিবেকানন্দ রোড (দক্ষিণ থেকে উত্তরমুখী) কলেজ স্ট্রিট (দক্ষিণ থেকে উত্তরমুখী) ব্রেবন রোড (উত্তর থেকে দক্ষিণমুখী) স্ট্র্যান্ড রোড (দক্ষিণ থেকে উত্তরমুখী) বিবি গাঙ্গুলী স্ট্রিট (পূর্ব থেকে পশ্চিমমুখী) বেন্টিং স্ট্রিট (দক্ষিণ থেকে উত্তরমুখী) এছাড়াও নিউ সিআইটি রোড, রবীন্দ্র সরণী (বি কে পাল এভিনিউ থেকে লালবাজার স্ট্রিট) প্রভৃতি রাস্তা ওয়ান ওয়ে করে দেওয়া হবে।
সকাল ৯: শহিদ স্মরণে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস (AITC)। ২১ জুলাইয়ের সকালে টুইটার বার্তায় তুলে ধরা হল ঐতিহাসিক ‘কালো দিনের’ ইতিহাস। ট্যুইটারে লেখা হয়েছে, ‘২১ জুলাই একটা আবেগ। হৃদয়ের ভীষণ কাছের একটি দিন। ১৩ জন কর্মীর অকালমৃত্যুতে আমরা শোকস্তব্ধ। তবে কথা দিচ্ছি, তাঁদের এই আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না। শহিদদের প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা।’
সকাল ৯.১৫: শহরের বিভিন্ন প্রান্তে এসে পৌঁচছেন জেলার কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের ‘দিদি’কে দেখতে ভিড় জমছে ধর্মতলা সভা চত্বরে। কারোর হাতে প্ল্যাকার্ড তো কেউ আবার সারা শরীরে তৃণমূলের পতাকা এঁকেছেন। কেউ আবার বহুদূর থেকে হেঁটে শহরে পৌঁচছেন। সবমিলিয়ে শহিদ দিবসের আবেগে ভাসছে গোটা রাজ্য।