আর চলবেনা চিনের দাদাগিরি! এবার ভারতের এই বন্ধু তৈরি করল বিধ্বংসী লড়াকু বিমান

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার সামরিক ক্ষেত্রে চিন (China) ফের পেতে চলেছে বড় টক্কর। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়ার দেশীয় KF-21 Boramae যুদ্ধবিমান গত মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো সফল ভাবে উড়ান সম্পন্ন করেছে। এই উড়ানের সময় ওই বিমানটির সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ৪০০ কিলোমিটার। এদিকে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ কোরিয়া এখন সেই সব দেশের তালিকায় নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করেছে যাদের কাছে নিজেদের তৈরি সুপারসনিক যুদ্ধবিমান রয়েছে। যদিও, আগে থেকেই তেজস যুদ্ধবিমান তৈরির কারণে ভারত ইতিমধ্যেই এই তালিকায় স্থান পেয়েছে। পাশাপাশি, এই উড়ান সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামনে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা ইতিমধ্যেই ভাইরাল হতে শুরু করেছে।

৪.৫ জেনারেশনের যুদ্ধবিমান: এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ কর্মসূচি প্রশাসন জানিয়েছে যে, প্রোটোটাইপ জেটটি দক্ষিণের শহর সাচিওনের বিমান বাহিনীর ঘাঁটি থেকে ৩৩ মিনিটের রাউন্ডট্রিপের উড়ান সম্পন্ন করেছিল। এদিকে, এই ৪.৫ জেনারেশনের ফাইটার এয়ারক্রাফ্টটি দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বাহিনী এবং দেশীয় অস্ত্র শিল্পকে একটি বড় উৎসাহ প্ৰদান করবে। উল্লেখ্য যে, গত বছরের এপ্রিলে এই ফাইটার প্লেনটি লঞ্চ করেছিল দক্ষিণ কোরিয়া।

   

ক্রুজ মিসাইলও হানবে আঘাত: জানিয়ে রাখি, F-21 হল একটি এয়ার টু এয়ার এবং এয়ার টু সারফেস মিসাইল। দাবি করা হচ্ছে, এই বিমানটি যাতে ক্রুজ মিসাইল ছুঁড়তে পারে সেভাবে তৈরি করা হয়েছে। মূলত, ক্রুজ মিসাইলের দৈর্ঘ্য অনেকটাই বেশি। এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের সময় বিমানের স্থিতিশীলতা নিয়ে একটা ঝুঁকি থাকে। যদিও, ভারত সহ খুব কম দেশেই এই ধরণের প্রযুক্তি রয়েছে।

কি বললেন প্রেসিডেন্ট: উল্লেখ্য যে, কোরিয়া অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ দ্বারা নির্মিত ছয়টি KF-21 প্রোটোটাইপের বহরের মধ্যে এটি ছিল প্রথম বিমান। যা এখন থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত ২,০০০ টিরও বেশি পরীক্ষামূলক উড়ান সম্পন্ন করবে। পাশাপাশি, ২০৩০ সালের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বাহিনীকে মোট ১২০ টি জেট সরবরাহ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সেক ইওল জানিয়েছেন, এই পরীক্ষাটি “জাতীয় প্রতিরক্ষা স্বাধীনতার একটি মহান অর্জন”। উল্লেখ্য যে, KF-21 হল দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে একটি যৌথ প্রকল্প যেখানে সিউলের ৮০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। মূলত, KF-21 হল দক্ষিণ কোরিয়ার একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প।

https://twitter.com/intel1osint100/status/1549287929691770880?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1549287929691770880%7Ctwgr%5E%7Ctwcon%5Es1_&ref_url=https%3A%2F%2Fhindi.oneindia.com%2Fnews%2Finternational%2Fsouth-korea-joins-supersonic-fighter-club-as-kf-21-jet-695998.html

দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি প্রথম যুদ্ধবিমান: KF-21-এর ৬৫ শতাংশ অংশীদারিত্ব দক্ষিণ কোরিয়ার হওয়ায়, এই বিমানের প্রথম উড়ান এখনও এমন একটি দেশের জন্য অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য অর্জন যেটির বিমান উৎপাদনের কোনো দীর্ঘ ইতিহাস নেই। এই ফাইটার জেট সম্পর্কে ডিএপিএ গত বছর জানিয়েছিল, “KF-21 হল দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি প্রথম ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট, এবং এটি ইঙ্গিত দেয় যে, দক্ষিণ কোরিয়া এখন নিজেরাই ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট তৈরি করতে সক্ষম। পাশাপাশি, এটি আরও উন্নত ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট তৈরি এবং স্থানীয়ভাবে উন্নত অস্ত্র পরিচালনার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে।”

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর