বাংলাহান্ট ডেস্ক : এখনও পর্যন্ত শহীদ দিবসের (Shahid Diwas) রেশ কাটেনি। কিন্তু এরই মধ্যে ২১ জুলাইয়ের জন সভা থেকে ফেরার পরই তৃণমূলের-র (TMC) দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। জানা যাচ্ছে, আরামবাগের (Arambag) বোলুন্ডি এলাকায় দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের জেরে দু’পক্ষেরই একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। তার মধ্যে একজন আবার নিখোঁজ। পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত দুজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার জেরে ওই এলাকায় মারাত্মক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠছে, হুগলির (Hooghly) আরামবাগের যুব জেলা সাংগঠনিক সভাপতি পলাশ রায়ের গোষ্ঠীর সঙ্গে প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণ চন্দ্র সাঁতরার ভাই তথা এলাকার উপ প্রধান অলোক সাঁতরার গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে এই সংঘর্ষ ঘটে। জানা যাচ্ছে এক গোষ্ঠীর লোকজন অপর গোষ্ঠীর পার্টি অফিসে ঢুকে রীতিমতো ভাঙচুর চালায়। পার্টি অফিসে থাকা লোকজনদের মারধর করা হয়। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে (Arambagh Hospital) ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিরাট পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন আরামবাগ থানার IC বরুণ কুমার ঘোষও।
এই সংঘর্ষের পর থেকেই দিলীপ পন্ডিত নামে এক তৃণমূল কর্মীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ জানানো হয়। প্রাক্তন প্রধান তথা উপ প্রধান অলোক সাঁতরার বলেন, ‘পলাশ রায় গোষ্ঠীর লোকজন এই পার্টি অফিসে এসে হামলা চালায়। আমার লোকজনদের মারধর করে। তাহলে আপনারাই বলুন এরা কী করে তৃণমূলের কর্মী বলে নিজেদের। ওদের শাস্তি চাই।’ অপর দিকে পলাশ রায় এই বিষয়ে কোনও কথাই বলতে চাননি। তবে তাঁর অনুগামী এক আহত তৃণমূল কর্মী এই ঘটনার দায় অলোক সাঁতরার উপরে চাপিয়েছেন। ঘটনা স্থলে মোতায়েন করা হয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী।
গতকাল ধর্মতলায় শহীদ সমাবেশে কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ও শৃঙ্খলাপরায়ণ হয়ে চলার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই এরকম গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে তৃণমূলের ভাবমূর্তি।