বাংলাহান্ট ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির দৌলতে প্রচারে এসেছেন মডেল অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। তবে এমন পরিচিতি কী চেয়েছিলেন তিনি? সম্ভবত নয়। ফ্ল্যাট থেকে হিসাব বহির্ভূত ২০ কোটি টাকা উদ্ধার হওয়ায় আপাতত শ্রীঘরে রয়েছেন তিনি। মুখরোচক গসিপে বিকোচ্ছে অর্পিতার নাম। এই অর্পিতাই অভিনয় করেছিলেন রুদ্রনীল ঘোষের (Rudranil Ghosh) সঙ্গেও।
২০ কোটি টাকা উদ্ধার হওয়ার পর ‘দুয়ারে গর্ত’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন রুদ্রনীল। শনিবার প্যারোডির ঢঙে তোপ দেগেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা সহ সবুজ শিবিরকে। এবার রুদ্রনীল জানালেন, অর্পিতা আসলে তাঁর একসময়কার সহকর্মী। গুটিকয়েক ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অর্পিতা। তার মধ্যে থেকেই ‘জোর যার মুলুক তার’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন দুজনে।
তবে সংবাদ মাধ্যমকে রুদ্রনীল জানান, তেমন বিশেষ পরিচিতি ছিল না তাঁর অর্পিতার সঙ্গে। অন্যান্য সহকর্মীদের সঙ্গে যেমন পরিচয় বা সম্পর্ক তেমনটাই ছিল অর্পিতার সঙ্গেও। তাছাড়া তিনি তেমন জনপ্রিয়তা কোনোদিনই পাননি অভিনয়ে যে আলাদা করে চর্চা হবে তাঁকে নিয়ে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অর্পিতার ঘনিষ্ঠতার ব্যাপারে রুদ্রনীলের কটাক্ষ, বাংলায় উন্নয়নের কথা বলে মানুষকে যারা এতদিন ধরে বোকা বানিয়ে গিয়েছেন সেই পার্থ দা আরো অন্যান্য সব দাদাদের থেকে অভিনয়টা ভালভাবে শিখবেন বলেই সময় কাটিয়েছেন। আর শিষ্যাকে দক্ষিণা হিসাবে কুড়ি কোটি টাকা দিয়েছেন তাঁরা।
এদিন একটি ভিডিও বার্তায় একের পর এক তীর ছুঁড়েছেন রুদ্রনীল। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে মুড়ি বেচে ২২ জুলাই অর্পিতার ফ্ল্যাটে ২০ কোটি! রুদ্রনীলের প্রশ্ন, মুড়ি বেচার টাকা নাকি চাকরি চুরির? নিজের সিগনেচার প্যারোডির ঢঙে তাঁর কটাক্ষ, তৃণমূলের দূর্গাপুজোয় এই অর্পিতারাই মুখ। নেতাদের ‘ঘনিষ্ঠ’ হলেই পাবে অপার সুখ।
ঘাসফুল শিবিরকে উদ্দেশ্য করে একের পর এক জ্বলন্ত কটাক্ষ ছুঁড়েছেন রুদ্রনীল, টাকা দিলেই চাকরি, টাকা দিলে তবেই কাজ। টাকা খেয়েই বাঁচে দলটা। আর যারা যোগ্য তারা রাস্তায় বসে রয়েছে। সেই সঙ্গে জনসাধারণ সহ নিজেকেও দোষারোপ করেছেন রুদ্রনীল। কারণ রাজ্যের মানুষই এই দল, নেতামন্ত্রীকে জিতিয়ে ক্ষমতায় এনেছিলেন। আর কটা দিন গেলে হাওড়া ব্রিজের নাটবল্টুও খুলে বেচে দেবে বলে বিশ্বাস রুদ্রনীলের।