বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষার অবসান হলো ইস্টবেঙ্গল ভক্তদের। খুব তাড়াতাড়ি হেড কোচ হিসাবে স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের নাম চূড়ান্ত করবে লাল হলুদ ক্লাব। ইনভেস্টর গোষ্ঠীর সঙ্গে এখনও চুক্তি চূড়ান্ত না হলেও দুই পক্ষের আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে খবর। আর তিন সপ্তাহের মধ্যে মাঠে নামতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে, কিন্তু এখনও কোনও খেলোয়াড়কে চূড়ান্ত করে উঠতে পারেননি তারা। তাই এমন পরিস্থিতিতে এমন একজন কোচকেই দায়িত্ব দিতে চাইছিলেন যার ভারতীয় ফুটবলের সঙ্গে ভালো পরিচিতি রয়েছে। আর অতীতে ২০০২ থেকে ২০০৫ এবং ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল ভারতীয় জাতীয় দলের কোচ হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।
<span;>তবে কনস্ট্যানটাইন মূল কোচ হলেও কলকাতা লিগ ও ডুরান্ড কাপে দলের দায়িত্বে ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট তুলে দেবেন বিনো জর্জের হাতে। প্রাক্তন ভারতীয় কোচের সঙ্গে পরামর্শ করে এই দুটি টুর্নামেন্ট ইস্টবেঙ্গলকে উতরে দিতে চাইবেন বিনো। ইস্টবেঙ্গলের দলগঠন এখনও শুরু হয়নি। কলকাতায় এর আগে কাজ করানোর অভিজ্ঞতা এবং সাম্প্রতিক অতীতে সন্তোষ ট্রফিতেও সাফল্য পাওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে বিনোর। সেই সঙ্গে সন্তোষে নজরকাড়া কিছু ফুটবলারকেও ইস্টবেঙ্গলে খেলানোর ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন তিনি। তবে কনস্ট্যানটাইন এবং বিনোর সামনে চ্যালেঞ্জটা অত্যন্ত কঠিন।
<span;>প্রাক্তন ভারতীয় কোচের সিভি বেশ আকর্ষণীয়।মাত্র<span;> ২৬ বছরে ফুটবলার হিসাবে কেরিয়ার শেষ হওয়ার পর ইউএসএ এবং সাইপ্রাসের ফুটবলে কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন কনস্ট্যানটাইন। তার পর এশিয়ায় নেপালের দায়িত্ব পালন করার পর ভারতে এসেছিলেন। কিন্তু ভারতে নিজের প্রথম ইনিংসে বড় কিছু সাফল্য পাননি তিনি। এরপর ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ডিভিশন লিগে অর্থাৎ চ্যাম্পিয়নশিপে মিলওয়াল এবং বোর্নমাউথের মতো দলে সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিজ্ঞতা হয়েছে তার।
<span;>তারপরে তিনি <span;>আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে বেশ কয়েকটি ক্লাবের সঙ্গে কোচ হিসেবে যুক্ত ছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি ফের ভারতে পা রাখেন জাতীয় দলের কোচ হিসেবে। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল সময় অবধি তার কোচিংয়ে ভারতীয় দলের বেশ কিছুটা উন্নতি হয়। ১২০-এর নিচে থেকে ৯৭ র্যাঙ্কিংয়ে উঠে আসে ভারত। এই সময় তিনি সুনীল ছেত্রীদের সাফ কাপ এবং ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে জিতিয়েছেন। তারপর শেষ এশিয়ান কাপে ভারতীয় দল ভালো শুরু করেও খারাপভাবে ফিনিশ করার পর তিনি সেই ফলের দায় নিয়ে দায়িত্ব ছাড়েন।