বাংলাহান্ট ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। গত শুক্রবার ইডির জেরার মুখোমুখি হন তৃণমূলের মহাসচিব তথা রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় ২১ কোটি নগদ টাকা, বিদেশি মুদ্রা সহ আরো অনেক হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি।
শনিবার সকালে গ্রেফতার করা হয় পার্থ এবং অর্পিতাকে। সেদিন রাতেই অসুস্থ মন্ত্রীকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএমে। আর সপ্তাহের প্রথম দিনে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ভুবনেশ্বর নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। পার্থ গ্রেফতারি নিয়ে একের পর এক কটাক্ষ ছুঁড়ছেন বিরোধীরা। এমনকি ছেড়ে কথা বলছে না মন্ত্রী মশাইয়ের নিজের দলের লোকেরাও।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির প্রসঙ্গে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন বিধায়ক অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদায় একটি সভা ছিল তাঁর। মঞ্চ থেকেই তিনি ব্যঙ্গ করেন, ‘আমার বান্ধবীরা এদিক ওদিক ছড়িয়ে রয়েছে। তাই ভয় লাগে।’ তবে তিনি এমনও মন্তব্য করেছেন, বিজেপির হাত থাকতে পারে গোটা ঘটনার নেপথ্যে।
সোমবার সকালে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। ভুবনেশ্বর এইমসে চার চিকিৎসকের মেডিক্যাল টিমের পর্যবেক্ষণে থাকবেন তিনি। মন্ত্রীর সঙ্গে ভুবনেশ্বরে উড়ে গিয়েছেন ইডির তদন্তকারী অফিসাররাও।
শনিবার সকাল থেকে নাকতলার বাড়িতেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে একটানা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। আধিকারিকদের আরেকটি দল যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় টাকার পাহাড়।
দক্ষিণ কলকাতার একটি অভিজাত আবাসনে থাকেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার বাড়িতেও হানা দিয়েছিল ইডি। উদ্ধার হয়েছে ২১ কোটি নগদ টাকা, সঙ্গে বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন, বিদেশি মুদ্রা। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ট্রাক এনে একাধিক ট্রাঙ্কে ভরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ওই বিপুল পরিমাণ টাকা। কিন্তু অর্পিতার কাছে ওই পরিমাণ হিসেব বহির্ভূত টাকা এল কোথা থেকে সেই খোঁজ চলছে।