বাংলাহান্ট ডেস্ক: রাজ্যের মানুষ দেখেছে শোভন-বৈশাখী জুটিকে। এ রাজ্যের মানুষ দেখছে ‘অপা’ থুড়ি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়-পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এর মাঝেই গুঞ্জনে ঢুকে পড়লেন বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। সঙ্গে অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সদস্যা তথা কাউন্সিলর শ্রীতমা ভট্টাচার্য (Sritama Bhattacharya)। রাজনীতির ‘কালারফুল বয়’কে জড়িয়ে ধরে একটি এবি তুলেছিলেন তিনি। সেখান থেকেই শুরু জল্পনা।
একটি টেলিভিশন শোতে মদন মিত্রকে জড়িয়ে ধরে ছবি তুলেছিলেন শ্রীতমা। সেই ‘ঘনিষ্ঠ ছবি’ নিয়েই নানান রটনা। কিন্তু শ্রীতমার পালটা প্রশ্ন, কেউ কাউকে জড়িয়ে ধরে ছবি তুললেই কি খুব ঘনিষ্ঠ হয়ে যায়? অন্যদের কাছে ঘনিষ্ঠতার মাপকাঠি ঠিক কী তা তিনি জানেন না। তবে শ্রীতমার স্পষ্ট কথা, মদন মিত্র তাঁর বাবার মতো। একজন মেয়ে তাঁর বাবাকে জড়িয়ে ধরে ছবি তুলেছেন। এতে অন্তত তাঁর কোনো অস্বস্তি নেই।
এর আগেও গুঞ্জন উঠেছে শ্রীতমাকে নিয়ে। তাঁর বিয়ে নিয়ে চর্চা হয়েছে। অথচ তিনি বিয়েই করেনইনি। নিজের থেকেই গুঞ্জন থেমে গিয়েছে। এখন শুরু হয়েছে মদন মিত্রকে নিয়ে। তবে সংবাদ মাধ্যমকে শ্রীতমা জানান, এই ধরণের গুঞ্জন শুনলে তাঁর বাস্তবিকই খুব খারাপ লাগে।
শ্রীতমা বলেন, রাজনীতির দিক দিয়ে তিনি মদন মিত্রের এলাকার পুরমাতা। এছাড়াও বিধায়কের সঙ্গে রাজনীতির বাইরেও তাঁর সম্পর্ক রয়েছে। মদন মিত্র তাঁর বাবার বন্ধু। অভিনেত্রীর বাবার অস্ত্রোপচারের সময়ে বিধায়ক সব রকম ভাবে তাঁদের সাহায্য করেছিলেন। নিজের বাবাকে হারানোর পর মদন মিত্রকেই বাবার স্থানে বসিয়েছেন শ্রীতমা। তাঁকে জড়িয়ে কুৎসা রটলে তো খারাপ লাগবেই।
https://www.instagram.com/p/Cf_Q4dzPSI4/?igshid=YmMyMTA2M2Y=
শ্রীতমা অভিনেত্রী। তবে রাজনীতিও তিনি ভালবাসেন। প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে আসার আগেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহ পেয়েছেন তিনি। তবে তখন তিনি ছিলেন শুধুই শিল্পী। নির্বাচনে জিতে পুরমাতা হওয়ার পর এখন রাজনীতিবিদদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক সম্পূর্ণ পেশাগত, বক্তব্য শ্রীতমার।