গত বছর ভারতের থেকে বেশি বৃদ্ধির কারণে প্রশংসা কুড়িয়েছিল বাংলাদেশ, এবার অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়া ব্লুমবার্গের (Bloomberg) রিপোর্টে বলা হয়েছে অর্থনৈতিক মন্দার (Economic Depression) শিকার হতে পারে এশিয়ার একাধিক রাষ্ট্র। এই রিপোর্টে সবার উপরে রয়েছে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। এই দ্বীপ রাষ্ট্রে মন্দার প্রভাব পড়বে ৮০ শতাংশের বেশি। খুব একটা পিছিয়ে নেই বাংলাদেশেও (Bangladesh)। আগামী সময়ে চরম অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত হতে চলেছে বাংলাদেশ। আগের বছরই বাংলাদেশ দাবি করে তাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নাকি ভারতের (India) থেকেও ভালো। আর তার এক বছরের মধ্যেই অর্থনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হওয়ার অবস্থায় দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনার দেশ।

বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকট ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার থেকে ৪.৫ বিলিয়ন ডলার লোনের জন্য আবেদন করেছে দেশটি। কিছুদিন আগেই আইএমএফ বলেছিল উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে বাংলাদেশ ভারতকেও ছাপিয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তব সম্পূর্ণ ভিন্ন। চরম আর্থিক সংকটে জেরবার বাংলাদেশ। বিদেশ থেকে আমদানি হচ্ছে না তেল। ফলে বন্ধ হয়ে পড়েছে একাধিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কে বিদেশি মুদ্রার পরিমাণ এতটাই কমে গেছে যে, বিদেশ থেকে কোনও জিনিস আমদানির ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের রিপোর্ট জানিয়েছে দেশ রপ্তানির থেকে অনেক বেশি আমদানি করেছে। তার প্রত্যক্ষ প্রভাব পরেছে দেশের অর্থনীতিতে। রিপোর্ট জানাচ্ছে, জুলাই ২০২১ থেকে মে ২০২২ এর মধ্যে বাংলাদেশ ৮১.৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। গত বছরের তুলনার আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৩৯ শতাংশ।

আমদানির বৃদ্ধির সরাসরি প্রভাব পরেছে দেশের অর্থনীতিতে। এক অর্থনৈতিক বছরের মধ্যে বিদেশি মুদ্রার পরিমাণ প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার কমে গেছে বলে জানা যাচ্ছে। জুলাই ২০২১-এ বাংলাদেশে বিদেশি মুদ্রার পরিমাণ ছিল ৪৫ বিলিয়ন ডলার। ২০২২ সালের মে মাসে সেই পরিমাণ কমে গিয়ে দাঁড়ায় ৩৯ বিলিয়ন ডলার।

জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশের কাছে যা বিদেশি মুদ্রা আছে তা দিয়ে আর মাত্র পাঁচ মাস বিদেশ থেকে আমদানি করা সম্ভব। এর উপর অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বিশ্ব বাজারে সমস্ত জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি হলে অবস্থা আরও সংকটজনক তৈরি হবে বাংলাদেশের জন্য।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর