বাংলাহান্ট ডেস্ক : দিনরাত তিনি চুইংগাম ফোলাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, চুইংগাম ফোলানোকেই পেশা হিসেবেও বেছে নিয়েছেন। আর এই পেশার দৌলতেই মাস গেলে পাচ্ছেন নয় নয় করে ৬৭ হাজার টাকা। কী অবাক লাগছে ? আপনি বিস্মিত হলেও এমন অদ্ভুত ঘটনা নিত্যদিন ঘটিয়ে সকলকেই কার্যত চমকে দিচ্ছেন জার্মানির বাসিন্দা জুলিয়া ফোরাট। ছোটবেলায় যারা চুইংগাম ফোলানোকে নিছক মজা বলে ভাবতেন, জুলিয়ার কাণ্ডকারখানায় তারাও রীতিমতো তাজ্জব বনে যাচ্ছেন।
জানা গিয়েছে, জুলিয়া নাকি নিজের মাথার থেকেও আকারে অনেকটাই বড় চুইংগাম ফোলানোর কাজে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছেন। মুখের মধ্যে প্রায় ৩০ টি চুইংগাম একসঙ্গে চিবিয়ে ফেলার পর একটা বিরাট আকারের বেলুন তৈরি করেন। মাসে চুইংগাম কেনার জন্য তাকে ৪৮০ টাকার কাছাকাছি পকেট থেকে খসাতে হলেও আয়ের অঙ্কটা বেশ তাক লাগানোর মতো। সেদিক থেকে হিসেব করলে দেখা যাবে, আয়ের তুলনায় ব্যয় নগণ্য। বহু গণ্যমাণ্য ব্যক্তি সারা মাস খেটেও ওই পরিমাণ টাকা আয় করতে পারেন না, যা নির্দ্বিধায় করে ফেলেছেন ওই তরুণী।
এবার আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন, চুইংগাম ফুলিয়ে কী ভাবে আয় হওয়া সম্ভব? আসলে জুলিয়া চুইংগাম ফোলানোর মুহূর্তটাকে ভিডিও রেকর্ড করে পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতেই ইতিমধ্যেই তার ভাগ্যে জুটেছে স্টারের তকমা, পেয়েছেন বিপুল জনপ্রিয়তা। নানা আকারের নানা ধরনের চুইংগাম বেলুন বানাতে তার তুলনা নেই। নেটনাগরিকেরা জুলিয়ার সেই সব ভিডিও দেখতে ভীষণ পছন্দ করেন। লাইক আর কমেন্টে ভরে ওঠে সেসব পোস্ট। জানা যায়, এক বন্ধুর কথাতেই জুলিয়া এমন ভিডিও বানানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। আর তা-ই যে ঘুরিয়ে দেবে তাঁর ভাগ্যের চাকা, তা বোধহয় ভাবতেও পারেননি জার্মানির এই তরুণী।