পার্থর ৯ টি বিদেশি কুকুর বন্দী অর্পিতার ফ্ল্যাটে, কিছুই নেই জল-খাবার

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলা এখন সরগরম কোটি কোটি টাকার উত্তাপে। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) বিভিন্ন ফ্ল্যাট বাড়ি থেকে ইতিমধ্যেই উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। সঙ্গে সোনা দানার বহর দেখলে মাথা ঘুরে যাবে। এদিকে ইডির (ED) লাগাতার জেরায় বিপর্যস্ত পার্থ-অর্পিতা। আর ঠিক এর মধ্যেই আর উঠে এলো আর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

জানা গিয়েছে, টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটি সাউথ আবাসনে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের একটি ফ্ল্যাটে বন্দি হয়ে রয়েছে ন’টি উন্নত প্রজাতির সারমেয়। যাদের সব মিলিয়ে দাম চার লক্ষ টাকারও বেশি। এই কুকুর গুলি এতদিন অর্পিতার দায়িত্বেই ছিল। জানা যাচ্ছে ওই সবকটি কুকুরই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। পার্থ এবং অর্পিতা ইডি হেফাজতে যাওয়ার পর থেকেই ওই ফ্ল্যাটে বন্দি রয়েছে ন’টি সারমেয়। ওই কুকুরগুলি কী খাচ্ছে? কীভাবে বেঁচে আছে সে খবর নেওয়ার মতো কেউ নেই। এই বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন আবাসনের পশু প্রেমীরা। কিন্তু তাঁরা কেউ গিয়ে দেখছেন না ঠিক কী অবস্থায় রয়েছে ওই কুকুরগুলি? না খেয়ে বেঁচে আছে তো? শুধু চিন্তা করছেন, কাজের কাজ কী কিছু করলেন?

১৯তলার ওই দু’টি ফ্ল্যাটের মোট আয়তন বড়জোর ১,৬০০ বর্গফুট। দু’টি ফ্ল্যাটকে এক সঙ্গে জোড়া হয়েছে। তার মধ্যেই রয়েছে অন্তত ন’টি কুকুর। প্রতিবেশীরা জানান, ওই সারমেয়গুলির মধ্যে একটি রটওয়েলার, একটি ইংলিশ বুলডগ, একটি ফ্রেঞ্চ বুলডগ। তা ছাড়াও রয়েছে একটি করে পাগ এবং বিগ্‌ল প্রজাতির কুকুর। রয়েছে দু’টি করে ল্যাব্রাডর এবং গোল্ডেন রিট্রিভার।

কিন্তু এই টুকু জায়গায় এতগুলো কুকুর আছে কী ভাবে? যদিও মন্ত্রীর সারমেয়-শখ নিয়ে কেউ কখনও কিছু বলেননি। জানা যাচ্ছে, কুকুরের প্রশিক্ষকরা মাঝে মাঝে কুকুরগুলিকে নিচে নামাতেন। গত প্রায় দু’মাস ধরে আবাসনের ওই নয় বাসিন্দা ফ্ল্যাটের বাইরে বেরোয়নি। যেদিন থেকে আদালতে পার্থর কুকুর এবং সম্পত্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে, সেদিন থেকে দেখা যায়নি প্রশিক্ষকদেরও।

এখন প্রশ্ন হল ওরা খাচ্ছে কী? জল, খাবার পাচ্ছে তো? এই ভাবে থাকলে নিজেদের মধ্যে মারপিট করেই মারা যাবে ওরা। খাবার জল না পেয়ে অসুস্থ হয়ে যাবে! জানলা দরজা বন্ধ। কীভাবে আছে ওরা? চর্মরোগ হয়েও মারা যেতে পারে! তবে এই কুকুরদের দেখতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কখনও আসতে দেখেননি আবাসনের বাসিন্দারা! আবাসনের সিকিউরিটি জানিয়েছেন, ‘বাইরে থেকেই খাবার আসে ওই কুকুরদের জন্য। এখনও সেই নিয়মই চলছে। তবে বেপাত্তা ট্রেনাররা! এর বেশি জানেন না কেউই। এদিকে ফ্ল্যাট থেকে বের হচ্ছে দুর্গন্ধ। সোশ্যাল মিডিয়াতেও অনেকে সরব হয়েছেন এই অমানবিক কাজের বিরুদ্ধে!

Sudipto

সম্পর্কিত খবর