বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) ফ্ল্যাট থেকে ইতিমধ্যেই কোটি কোটি নগদ অর্থ উদ্ধার করেছে ইডি (ED)। এর মাঝেই আবার বিতর্ক উস্কে গতকাল হাওড়ার (Howrah) পাঁচলা মোড় সংলগ্ন রানিহাটি এলাকায় একটি কালো রঙের গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ অর্থ, যা ঘিরে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে সর্বত্র। এই ঘটনায় ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) তিন কংগ্রেস (Congress) বিধায়ককে আটক করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, কালো রঙের গাড়িটি থেকে মিলেছে ৪৯ লক্ষ টাকা। তবে এই বিপুল পরিমাণ অর্থের উৎস কি? ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে প্রশাসন।
এই ঘটনায় একদিকে যেমন বিরোধী দলগুলি বিজেপির দিকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে, আবার তার পাল্টাও দিয়েছে বিজেপি। বর্তমানে যে প্রশ্নটি প্রধান চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে তা হলো, তিন কংগ্রেস বিধায়কের কাছে এত পরিমাণ অর্থ এল কোথা থেকে কিংবা কোন কাজের জন্য ৪৯ লাখ টাকা বহন করে চলেছিলেন তারা? ইতিমধ্যে আটক তিন কংগ্রেস নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও কোনওরকম সঠিক জবাব দিতে পারেননি তারা। তবে বর্তমানে সিআইডি এবং জেলা পুলিশের তরফ থেকে যৌথভাবে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে বলে খবর।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ মাঝে এদিন ইরফান আনসারি, রাজেশ এবং নমন বিকসল নামে তিন কংগ্রেস বিধায়ক জানান, “বড়বাজার থেকে শাড়ি কেনার উদ্দেশ্যেই আমরা টাকা এনেছিলাম। আসলে ঝাড়খণ্ডের গ্রামীণ অঞ্চলে এ সকল শাড়ি গুলি বিতরণ করার কথা রয়েছে। সে কারণেই আমরা পরবর্তীতে মন্দারমনির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলাম।” পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের কথার কোনওরকম সুস্পষ্ট প্রমাণ আপাতত মেলেনি।
পুলিশ জানিয়েছে, “আমাদের কাছে গতকাল খবর আসে, একটি কালো রংয়ের গাড়ি করে বিপুল অর্থ নিয়ে যাওয়া হতে চলেছে। এর পরে আমরা সকল গাড়ির ওপর নজর রাখি এবং পরবর্তীতে তিন কংগ্রেস বিধায়ক সহ একটি গাড়িকে আটক করা হয়। টাকা কোথা থেকে এলো, সে সম্পর্কে তদন্ত করে দেখা হবে।”
উল্লেখ্য, কালো রঙের গাড়িটিতে ‘কংগ্রেস বিধায়ক’ এবং ‘ঝাড়খণ্ড’ লেখা বোর্ড থাকায় সর্বপ্রথম সন্দেহ হয় এবং পরবর্তীতে বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধার হওয়ার পরেই আটক করা হয় সকলকে। পরবর্তীতে অভিযুক্তদের জেরা করে আসল সত্যতা সামনে উঠে আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যে একে অপরের দিকে দোষারোপ করেছে বিজেপি এবং বিরোধী দলগুলি। ঝাড়খণ্ডের গাড়িতে বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধারের পরেই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে টুইট করে জানানো হয়, “এই যে বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধার করা হলো, এর উৎস কি? এটির তদন্ত কি করবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি, নাকি এক্ষেত্রে তদন্ত কেবলমাত্র কয়েকজনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?” অপরদিকে, কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও ঝাড়খণ্ডে বিজেপির দ্বারা সরকার পতনের ষড়যন্ত্রকে দায়ী করা হয়েছে। অবশ্য পাল্টা দিতে ছাড়েনি বিজেপিও। তাদের দাবি, “সম্পূর্ণ ঘটনায় হাতে রয়েছে কংগ্রেসের।”