বাংলাহান্ট ডেস্ক: একুশে জুলাইয়ের দিন ভাবতেও পারেননি রাত পোহালেই ভাইরাল হয়ে যাবেন। এক সময় যাঁর পরিচিতি ছিল খুবই স্পল্প পরিসরে, তিনিই এখন গোটা রাজ্যে চর্চার কেন্দ্রে। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee) নিয়ে, যিনি প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ পরিচয়ে সবার নজর কেড়ে নিয়েছেন।
দীর্ঘদিন অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অর্পিতা। এখন অবশ্য বিদায় জানিয়েছেন লাইট ক্যামেরা, অ্যাকশনের দুনিয়াকে। এর আগে এক প্রযোজক জানিয়েছিলেন, অভিনয়টা খারাপ করতেন না অর্পিতা। কিন্তু উচ্চাকাঙ্খী অর্পিতা দ্রুত আকাশের চাঁদ ধরতে ছুটেছিলেন। আর তাতেই হল সমস্যা।
কিছুটা এমনি সুর শোনা গেল প্রযোজক রানা সরকারের (Rana Sarkar) লেখায়। সবার বিপরীতে গিয়ে অর্পিতাকে সমর্থন করে তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের সঙ্গে একটা কাজ করেছিল ও, একটি চ্যানেলের জন্য “ব্যোমকেশ বক্সী” সিরিজ বানিয়েছিলাম আমরা ২০১৪ সালে তার ‘কহেন কবি কালিদাস’ গল্পে অভিনয় করেছিল। রীতিমত অডিশন দিয়ে কাস্টিং করা হয়েছিল ওকে’।
তিনি আরো লিখেছেন, ‘ওড়িয়া ছবির প্রতিষ্ঠিত এক অভিনেত্রী, পরিশ্রমী, অভিনয়ে পারদর্শী মেয়েটি… শুধুমাত্র অভিনয় পেশা থেকেই অনেক কিছু পাওয়ার ছিল ওর, কিন্তু হারিয়ে গেলো এই জগৎ থেকে , হয়তো নিয়তির টানে।’
সবশেষে প্রযোজকের সংযোজন, ‘এরকম বহু অর্পিতা লুকিয়ে আছে আমাদের মধ্যে, সমাজ এদের আসল প্রতিভা থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে, শুধু যে টাকা পয়সার লোভ সেটা না কিন্তু আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা এটার অন্যতম কারণ বলে মনে হয়। খিল্লি আপনি করুন , মিম বানান , রাজনৈতিক বিশ্লেষণ করুন, কিন্তু একজন শিল্পী তাকে বাঁচিয়ে রাখা অথবা বিচার করার দায়ভার ইডি/সিবিআই-এর না, আমাদের সমাজের… ভেবে দেখবেন। জয় জগন্নাথ’।
কিন্তু রানা সরকারের এত সহমর্মিতা ভাল চোখে দেখেননি অনেকেই। একজন লিখেছেন, ‘এতো প্রতিভা মেয়েটির যখন জানতেন একটা কাজ দিয়েছিলেন কেন ???? এখন বেশি জ্ঞান দিচ্ছেন’। আরেকজনের পরামর্শ, ‘ও জেল থেকে ফিরে এলে ওকে নায়িকা বানিয়ে একটা ছবি করুন। আর সেলফি চাই মহরত এর আগের।’
আরেকজন তীব্র কটাক্ষ শানিয়ে লিখেছেন, ‘এরকম একটা ঠকবাজ কুরুচিকর মহিলাকে সমর্থন করছেন কেনো? শিল্পের প্রতি নিষ্ঠা একমন্যতা ভালোবাসা শিল্পীসত্বাকে বাঁচিয়ে রাখে সেই জায়গায় যদি লোভ বাসা বাঁধে ক্ষমতার সান্নিধ্যে আসা সেই লোভাতুর মনে কখনোই শিল্প ক্রিয়েটিভিটির বিকাশ ঘটতে পারে না।’