বাংলাহান্ট ডেস্ক: বড্ড তাড়াতাড়ি চলে গেলেন সঙ্গীতশিল্পী নির্মলা মিশ্র (Nirmala Mishra)। চিরদিনের জন্য হারিয়ে গেল ‘তোতাপাখি’। গানের মাধ্যমে মানুষের মন খুঁজতে চেয়েছিলেন প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী। পেয়েছিলেন কিনা জানা নেই, তবে তাঁর শেষযাত্রায় যে দৃশ্যের সাক্ষী থাকল এ শহর তা যথেষ্ট দুঃখজনক।
শনিবার রাত ১২ টা বেজে ৫ মিনিট নাগাদ নিজের চেতলার বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। জানা যাচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সঙ্গীতশিল্পী। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। অসুস্থ ছিলেন অনেকদিন ধরেই। শনিবার ফাঁকি দিয়ে চলে গেলেন শিল্পী।
খবর ছড়ানো মাত্র শোকবার্তার ঢল নেমেছিল।সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিনোদন জগৎ, রাজনৈতিক জগতের মানুষরা শোকজ্ঞাপন করেছেন নক্ষত্র পতনে। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় টুইটে লিখেছেন, অপূরণীয় ক্ষতি… খবরটা শুনে গভীর শোকাহত… শ্রদ্ধেয়া নির্মলা মিশ্রের পরিবার ও সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের জন্য গভীর সমবেদনা রইলো।’
অপূরণীয় ক্ষতি… Deeply saddened by the news…
শ্রদ্ধেয়া নির্মলা মিশ্রের পরিবার ও সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের জন্য গভীর সমবেদনা রইলো।
— Prosenjit Chatterjee (@prosenjitbumba) July 31, 2022
শোক জ্ঞাপন করেছেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তও। তিনি লিখেছেন, ‘খুব দুঃখজনক। নির্মলা আন্টি আমাদের হৃদয়ে চিরদিনের জন্য রয়ে যাবেন।’ একই ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
অথচ রবীন্দ্র সদনে দেখা গেল অন্য চিত্র। এদিন দুপুর একটা পর্যন্ত রবীন্দ্রসদনে শায়িত ছিল প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পীর মরদেহ। সোশ্যাল মিডিয়ার শোকবার্তার জমায়েত কিন্তু এখানে দেখা যায়নি। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, সঙ্গীতশিল্পী সৈকত মিত্র, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, কংগ্রেস নেতা আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়রা। বিনোদন দুনিয়ার প্রায় কারোরই দেখা মেলেনি।
নির্মলা মিশ্রের প্রয়াণ বাংলা সঙ্গীত জগতের অপূরণীয় ক্ষতি। ষাটের দশকে তাঁর গান মাতিয়ে রেখে দিয়েছিল সব বয়সের শ্রোতাদের। এমন একটি ঝিনুক খুঁজে পেলাম না, ও তোতাপাখি রে, আমি তো তোমার হাসি কান্নার চিরদিনের সাথী, আবেশে মুখ রেখের মতো গানগুলি এখনো সমান জনপ্রিয়।