বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: প্রথম ম্যাচের প্রতিচ্ছবি দেখা গেলো দ্বিতীয় ম্যাচেও। ভারতের চেয়ে এই মুহূর্তে অনেক পিছিয়ে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের সামনেও কেঁপে গেল ভারতীয় দলের টপ অর্ডার। প্রথম ম্যাচেও কিছুটা একই চিত্র দেখা গিয়েছিল। এবার ওপেনিং পার্টনারশিপ একবার ভাঙ্গার পর পর পর উইকেট তুলেছিলেন ক্যারিবিয়ান বোলাররা। কিন্তু এদিন প্রথম বলে রোহিত শর্মার আউট হওয়ার পর থেকে ভারতীয় ব্যাটারা ম্যাচে একবারের জন্যও ঘুরে দাঁড়াতে পারলেন না।
আজ সেন্ট কিটস-এ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ শুরু হতো প্রায় দু’ঘণ্টা দেরি হয়। ভারতীয় সময় রাত আটটায় ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ত্রিনিদাদ থেকে ম্যাচের সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ লাগেজ দেরি করে পৌঁছনোয় ম্যাচ দু’ঘণ্টা পরে ভারতীয় সময় রাত দশটায় শুরু হয়। ‘ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ’ এই ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করে জানিয়েছেন এই ঘটনাটি তাদের হাতের কন্ট্রোলের বাইরে ছিল। ফলে কোন ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তারা সম্প্রচারক, দর্শক এবং ভক্তদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন।
এদিন ক্যারিবিয়ান পেসার ওবেদ ম্যাকয়ের সামনে ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। নিজের প্রথম স্পেলে দুই ওপেনারকে আউট করেছিলেন ম্যাকয়। এরপরে মিডল অর্ডারে শ্রেয়স আইয়ার ব্যর্থ। রিশভ পন্থ ১২ বলে ২৪ রানের একটি প্রতিআক্রমণকারী ইনিংস খেলে আউট হয়ে যান। এরপর মিডল অর্ডারে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন হার্দিক পান্ডিয়া (৩১) এবং রবীন্দ্র জাদেজা (২৭)। এদের দুজনের মধ্যে ৪৩ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ হয়। কিন্তু তারা খুব দ্রুত গতিতে ব্যাটিং করতে পারেননি বরং বেশ ধীরগতিতেই ব্যাটিং করেছেন ফলে ভারতের খুব বেশি লাভ হয়নি।
এরপর পুরো ২০ ওভার ব্যাট করতে ব্যর্থ হয় ভারত। কত ম্যাচ ও ভারতীয় ব্যাটিং এর চিত্রটা এমন ছিল কিন্তু সেদিন রুখে দাঁড়িয়েছিলেন রোহিত শর্মা এবং দীনেশ কার্তিক। প্রথমজন আজকে গোল্ডেন ডাকে আউট হন। দীনেশ কার্তিক ১৩ বলে মাত্র ৭ রান করে ম্যাকয়ের শিকার হন। ১৯.৪ ওভারে ১৩৮ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। অভাবনীয় বোলিং করে নিচের ৪ ওভারে ১টি মেডেনসহ মাত্র ১৭ রান দিয়ে 6 উইকেট নেন ওবেদ ম্যাকয়।