বাংলাহান্ট ডেস্ক : কয়েকদিন আগেই ৭ টি নতুন জেলার নাম ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই জেলা ভাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভয়ঙ্কর আক্রমণ করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সুকান্ত বললেন মমতা হলো ‘লেডি বিন তুঘলক’।
কিছুদিন আগেই ড. নির্মল মাঝি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘মা সারদার অবতার’ হিসাবে তুলে ধরেন। যা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। এছাড়া বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে নেতাজি, সিস্টার নিবেদিতা বা মা অন্নপূর্ণার রুপে দেখাটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে নতুন কিছু নয়। এবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মমতার মধ্যে দেখতে পেলেন ইতিহাসের পাগল রাজা বলে খ্যাত মহম্দ বিন তুঘলকের মহিলা সংস্করণ হিসাবে, অর্থাৎ, লেডি বিন তুঘলক। বৃহস্পতিবার জেলাভাগ প্রসঙ্গে ট্যুইট করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। তিনি লেখেন, ‘স্থানীয়দের আবেগকে কোনও রকম গুরুত্ব না দিয়ে ৭ টি নতুন জেলা তৈরি করা লেডি বিন তুঘলকের খামখেয়ালি সিদ্ধান্ত। এটা একটা অত্যাচারী শাসনের উদাহরণ।’ সুকান্ত মজুমদার আরও লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ এমনিতেই ঋণের বোঝায় জর্জরিত। তার মাঝে এই জেলা বাড়ানোয় ঋণের বোঝা আরও বাড়বে। দুর্নীতির বিকেন্দ্রীকরণের নতুন রাস্তা খুলবে।’ সুকান্ত মজুমদারের এই ট্যুইট ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
রাজ্য বিজেপির সভাপতির মন্তব্যের পালটা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও। রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘বাংলার উন্নয়নের কাজ ত্বরান্বিত করতে মুখ্যমন্ত্রী জেলা ভাগ করেছেন। বিজেপির সেটাতে তুলঘলকি আচরণ মনে হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।’ ‘জেলা ভাগ যদি তুঘলকি আচরণ হয়ে থাকে, তাহলে জিএসটি লাগু, নোটবন্দি এগুলি তুঘলকি আচরণ নয়?’ পালটা প্রশ্ন তোলেন শান্তনু সেন।
প্রসঙ্গত, সদ্যই বাংলার মানচিত্রে যুক্ত হয়েছে আরও সাতটি নতুন জেলা। গত সোমবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা