দল মুখে তালা লাগাতেই বোরোলিন নিয়ে ঘুরছেন কুণাল ঘোষ, জানালেন কতদিন তৃণমূলে আছেন তিনি

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করার পর দলের কোপে পড়লেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। অফিশিয়ালি কিছু জানানো না হলেও সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, আগামী সাত দিনের জন্য দলের পক্ষ থেকে সেন্সর করা হয়েছে কুণাল ঘোষকে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গে বেশ কিছু মন্তব্য করার পর সেটিকে ভালোভাবে নেননি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা যাচ্ছে কুণালের সেই “আবেগতাড়িত” মন্তব্যের ফলে দলের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে কুণাল ঘোষের মন্তব্যকে মোটেও ভালো চোখে দেখছে না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্রিগেড। একাধিকবার নাকি কুণাল ব্যক্তিগত মঞ্চ ও দলীয় মঞ্চ গুলিয়ে ফেলছেন। তার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে করা মন্তব্য বেশ দৃষ্টিকটু ও দলের পক্ষে অস্বস্তিকর। তাই আগামী ৭ দিন দলের পক্ষ থেকে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র হিসেবে কুণাল ঘোষকে কিছু না বলার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিষয়ে কিছু জানানো না হলেও ব্যক্তিগতভাবে দলের পক্ষ থেকে কুণাল ঘোষকে এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

   

আজ সুকিয়া স্ট্রীটে কুণাল ঘোষ বলেছেন, “আমি তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক কঠিন সময়ের সৈনিক। আমি তৃণমূলে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। দল করতে গেলে অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়। তাই আমি বোরোলিন মেখে চলি। এর ফলে জীবনের নানা ওঠা পড়া আমার গায়ে লাগেনা।”

কুণাল ঘোষ কী দলের সিদ্ধান্তে অভিমান করেছেন? কুণালের সাফ জবাব, “কার উপর অভিমান করব? সকলকে অনুরোধ করেছিলাম খুঁটি পুজোর কভারেজ করতে। আপনার এসেছেন, প্রশ্ন করছেন ,তাই উত্তর দিচ্ছি। আমি শুধু সূত্রধরের মতো বলে দিচ্ছি।” তিনি এও বলেছেন যে, যতদিন মন, হৃদয় সারা দেবে ততদিন আমি তৃণমূলেই আছি।

কুণালের এই “সূত্রধর” হিসেবে নিজেকে ব্যাখ্যা করার বিষয়টি অনেককে ভাবিয়ে তুলছে। দলের মুখপাত্র হিসেবে এতদিন যিনি স্পষ্ট ভাষায় উত্তর দিতেন তিনি কি করে হঠাৎ করে “সূত্রধর” হয়ে গেলেন এই প্রশ্ন জাগছে সবার মনেই। তাহলে কি রাজনৈতিক মহলের আশঙ্কা সত্যি করেই ধরে নেওয়া যায় দলের তরফ থেকে আন-অফিসিয়ালি সেন্সর করা হয়েছে কুণাল ঘোষকে! প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর