বাংলা হান্ট ডেস্ক: সাম্প্রতিক কালে জ্বালানির (Fuel) ক্রমবর্ধমান দাম বৃদ্ধিতে কার্যত নাজেহাল অবস্থা সকলের। এমনকি তেলের দাম মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়ে যাওয়ায় বাইক নিয়ে রাস্তায় বেরোতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে চালকদের। যদিও, নিত্যদিনের যাতায়াতের ক্ষেত্রে একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়ায় সেই বাইক-ই। তবে, তেলের দাম বৃদ্ধি পেলেও বাইক চালানোর ক্ষেত্রে তেলের খরচ সামলানোর কিছু উপায় কিন্তু রয়েছে। যেগুলি বাইক চালানোর সময় মনে রাখলে কিছুটা হলেও হবে সাশ্রয়। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে সেই টিপসগুলিই বিস্তারিত ভাবে উপস্থাপিত করা হল।
১. অতিরিক্ত ওজন নিয়ে বাইক চালালে তেলের খরচ বেশি হয়: বাইকে অত্যধিক পরিমান ওজন চাপানো হলে সেক্ষেত্রে তেলের খরচ বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ বেশি সংখ্যক আরোহী বসলে কিংবা অত্যধিক জিনিসপত্র বাইকে চাপিয়ে দেওয়া হলে বাইক অতিরিক্ত তেল গ্রহণ করে। ফলে বেশি ওজনের কোনো কিছুই মোটরসাইকেলে বহন করা একদম উচিত নয়।
২. পরীক্ষা করতে হবে চাকার হাওয়া: জানিয়ে রাখি যে, বাইকের চাকায় থাকা হওয়ার কারণে চাকার ওজন কম বা বেশি হয়। পাশাপাশি, তা নিয়ন্ত্রণ করে চাকার আকারও। এমতাবস্থায়, মোটরসাইকেলের ক্ষমতাও কমে যায় এবং স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি তেল খরচ হয়। আর এই কারণেই মোটরসাইকেলের চাকার হাওয়া নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত।
৩. নির্দিষ্ট গতিতে চালাতে হবে বাইক: বাইক চালানোর ক্ষেত্রে সর্বদা একটি নির্দিষ্ট গতিতে তা চালানো উচিত। প্রায়শই অনেকেই অতিরিক্ত গতিতে বা কম গতিতে মোটরসাইকেল চালান। আর এতেই তেলের খরচও বেশি ঘটে।
৪. ঘন ঘন ব্রেকের ব্যবহার বৃদ্ধি করে তেলের খরচ: মোটরসাইকেল চালানোর ক্ষেত্রে বারংবার ব্রেক কষলে তেল খরচের পরিমান বৃদ্ধি পায়। তাই জ্বালানির খরচ কমাতে ঘন ঘন ব্রেক করা থেকে বিরত থাকতে হবে চালককে। পাশাপাশি, মাথায় রাখতে হবে গতির বিষয়টিও।
৫. এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার রাখতে হবে: বাইকের একটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ হল এয়ার ফিল্টার। মূলত, রাস্তায় থাকা ধুলো-বালির কারণে এয়ার ফিল্টারটি বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে, এয়ার ফিল্টারে ময়লা থাকলে প্রয়োজনের তুলনায় কম বাতাস প্রবেশ করে ইঞ্জিনে। এমতাবস্থায়, কম অক্সিজেন প্রবেশের ফলে তেল বেশি পরিমানে খরচ হয়।
৬. বাইকের চেন ঠিক রাখতে হবে: মোটরসাইকেলের চেন অতিরিক্ত ঢিলে বা টানটান থাকলে জ্বালানির খরচ বেড়ে যায়। এমতাবস্থায়, তেলের খরচ কমাতে নিয়মিত চেন পরীক্ষা করা উচিত এবং চেনটিকে সঠিক মাপেও রাখা উচিত।
৭. লক্ষ্য রাখতে হবে কার্বরেটরের: জানিয়ে রাখি যে, কার্বরেটরের মাধ্যমেই ইঞ্জিনে প্রবেশ করে তেল। সেক্ষেত্রে কোনোভাবে কার্বরেটরে ময়লা জমলে ইঞ্জিনেও সেই ময়লা প্রবেশ করে। আবার কার্বরেটর সঠিকভাবে কাজ না করলে ইঞ্জিনে তেল বেশি পরিমানে প্রবেশ করে। ফলে তেলের খরচ বেশি হয়। তাই, কার্বরেটরটিকে মাঝে মাঝেই পরীক্ষা করে দেখতে হয়।
৮. খারাপ রাস্তা: বাইকের তেল খরচ বৃদ্ধির জন্য আরও একটি কারণ হল খারাপ রাস্তা। রাস্তা যত খারাপ হবে সেক্ষেত্রে তেলের খরচও বৃদ্ধি পাবে। তাই, তেলের খরচ কমানোর জন্য খারাপ রাস্তা এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ, খারাপ রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে গতি কমাতে ও বাড়াতে হয়। আর এতেই তেলের খরচ ঘটে। এমতাবস্থায়, উপরে উল্লিখিত টিপসগুলি মেনে চললেই আপনি বাইকের তেলের খরচ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।