বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক সময়ে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে বিস্ফোরক মজুত রাখা এবং বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। এ সকল ঘটনায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শাসক দলের নেতাদের জড়িত থাকার খবরই সামনে আসে। এদিন একইভাবে পূর্ব বর্ধমানের এক তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতার বাড়ি থেকে ৪৫ টি তাজা বোমার পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করল পুলিশ। অভিযুক্তকে দুদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ঘটনার কেন্দ্রস্থল পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট এলাকার বনপাড়া গ্রাম। অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা জিয়াবুর রহমান একদা স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পদে নিযুক্ত ছিলেন। বর্তমানে সেই পদ না থাকলেও তিনি তৃণমূল দল করেন বলেই দাবি। সূত্রের খবর, বহুদিন ধরেই তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা মজুত রাখার অভিযোগ সামনে আসতে থাকে আর এদিন শেষ পর্যন্ত তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ব্যাগের ভিতর তাজা বোমার পাশাপাশি একটি আগ্নেয়াস্ত্র মিলেছে বলে খবর।
পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকার বুকে অশান্তি সৃষ্টি করার জন্যই বাড়িতে বোমা মজুত রেখেছিলেন জিয়াবুর রহমান। এক্ষেত্রে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় অশান্তি ছড়িয়ে দেওয়াই তাঁর উদ্দেশ্য ছিল বলে অনুমান পুলিশের। এক্ষেত্রে তল্লাশি চালিয়ে আরো আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা যাবে বলে মনে করছে প্রশাসন। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা জানান, “আমি এখনো তৃণমূল করি। তবে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠে চলেছে, তা মিথ্যে। দলের ভেতর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে আর সেই কারণে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়ে চলেছে।” সম্পূর্ণ ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাসে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে বোমাবাজির ঘটনার সামনে আসতে থাকে। কয়েক মাস আগে ব্যারাকপুর এলাকায় চন্দন মিত্র নামে এক তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে বোমাবাজি করে পালায় দুষ্কৃতীরা। আবার কয়েকদিন পূর্বেই মালদার কালিয়াচকে একইভাবে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনাতেও একাধিক তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়। ফলে বর্তমানে একের পর এক বোমা মজুত এবং পরবর্তীতে তা বিস্ফোরণের ঘটনার প্রশাসনের তরফ থেকে নিরাপত্তার বিষয়টি যে প্রশ্নের মুখে পড়ে চলেছে, তা বলা বাহুল্য। অবশ্য বর্তমানে পূর্ব বর্ধমানের ঘটনায় তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।