ভারতে মুখ থুবড়ে পড়ছে চিনা স্মার্টফোন! জুন ত্রৈমাসিকে ১৪.৭ শতাংশ রেকর্ড পতন বিক্রিতে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: একটা সময় ছিল যখন চিনা স্মার্টফোন (Chinese Smartphone) বিশ্বজুড়ে আধিপত্য বিস্তার করত। তবে, সম্ভবত সেই দিন শেষ হওয়ার পথে! এর কারণ হল, যত দিন এগোচ্ছে ততই চিনা স্মার্টফোনের চাহিদায় বিরাট পতন পরিলক্ষিত হচ্ছে। সর্বোপরি চাইনিজ স্মার্টফোনের চাহিদা যে শুধু ভারতেই কমছে তা নয়, বরং সারা বিশ্বেই এই প্রভাব দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে অবাক করার মত বিষয় হল, এই স্মার্টফোনের চাহিদা কমে গিয়েছে খোদ চিনেও!

চিনা স্মার্টফোনের চাহিদা কমেছে চিনে: সর্বশেষ তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে যে, চিনে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে স্মার্টফোনের চালান ১৪.৭ শতাংশ হারে হ্রাস পেয়েছে। এই প্রসঙ্গে আমেরিকা ভিত্তিক পাবলিকেশন ফাইন্যান্সিয়াল পোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, একটানা চতুর্থ ত্রৈমাসিক যাবৎ চিনা স্মার্টফোনের চাহিদা কমেছে।

চিনের স্মার্টফোন বাজার গভীর সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে: মূলত, চিনের স্মার্টফোনের বাজার বর্তমানে গভীর সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি চলতি সপ্তাহের শুরুতে, ব্লুমবার্গ জানিয়েছে যে, ভারত সরকার দেশে ১২ হাজার টাকার কম চিনা স্মার্টফোন বিক্রি বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, সস্তা স্মার্টফোনের বাজার থেকে চিনা স্মার্টফোনের ব্র্যান্ডগুলিকে বাদ দিতে চায় সরকার।

চিনা কোম্পানিগুলিকে নিয়ে তদন্ত চলছে: সম্প্রতি, ভারত সরকার কর চুরির ঘটনায় একাধিক চিনা স্মার্টফোন প্রস্ততকারী সংস্থাকে নোটিশ পাঠিয়েছে। জানিয়ে রাখি যে, বর্তমানে ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন মার্কেট হিসেবে বিবেচিত হয় এবং শীঘ্রই এই ক্ষেত্রে বিশ্বের বৃহত্তম মার্কেট হিসেবে বিবেচিত হবে ভারত। কিন্তু বর্তমানে ভারতের শীর্ষ ৫ টি স্মার্টফোন ব্র্যান্ডের মধ্যে ৪ টিই চিনের। এমতাবস্থায়, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, Xiaomi এবং Oppo-র মতো স্মার্টফোন নির্মাতারা ভারতে সাশ্রয়ী মূল্যের অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলি লঞ্চ করার পর থেকে ভারতীয় মোবাইল উৎপাদনের ক্ষেত্র গতিহীন হয়ে পড়েছে।

DSCF6593.0

চিনা স্মার্টফোনের চালান কমেছে: এই প্রসঙ্গে মার্কিন গবেষণা সংস্থা IDC-র প্রকাশিত তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে যে, এক বছর আগের তুলনায় দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে চিনে স্মার্টফোনের চালান ১৪.৭ শতাংশ কমে ৬.৭২ কোটি ইউনিটে পোঁছেছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর