‘কেস্টা বেটাই চোর” আমূলের বিজ্ঞাপন ঘিরে হাসির রোল! নিশানায় কী অনুব্রত? উঠছে প্রশ্ন

বাংলাহান্ট ডেস্ক : একেবারে নির্বিষ একটি বিজ্ঞাপন। যার বিষয় হল জন্মাষ্টমী এবং কৃষ্ণের মাখন চুরি করে খাওয়ার গল্প। সেই সঙ্গে জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছাও। কিন্তু এই বিজ্ঞাপন নিয়েই শুরু হয়েছে শোরগোল। কারণ এই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেই তুলের ধরা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) কেন্দ্র করে পশ্চিমবাংলায় সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি। দুগ্ধজাত পণ্য প্রস্তুতকারক একটি সংস্থার ওই বিজ্ঞাপন ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছার নীচে ওই বিজ্ঞাপনটিতে রয়েছে একটি মাখনের বাক্স। যার ঢাকনাটি কিছুটা খোলা অস্থায় রয়েছে। বাক্সের ভিতর থেকে কিছুটা মাখন তুলে নেওয়া হয়েছে। ঢাকনার উপর ওই সংস্থার পরিচিত বালিকার ছবি। যার একটি চোখ দেখা যাচ্ছে। এই পর্যন্ত কোনও সমস্যাই নেই। কিন্তু সেই বিজ্ঞাপনের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে— ‘কেষ্টা বেটাই চোর’।

   

এই বাক্যটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘পুরাতন ভৃত্য’ কবিতার অংশ। কিন্তু বর্তমানে বঙ্গ রাজনীতিতে ‘কেষ্টা’ নামটি বেশ উল্লেখযোগ্য। তার সঙ্গে আবার ‘চোর’ যোগ করলে তা বিতর্কিতও বটে। সিবিআই অনুব্রতকে গরু পাচার কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করেছে। তিনি আপাতত রয়েছেন সিবিআই হেফাজতে।অনুব্রতের ডাক নাম ‘কেষ্ট’। যে নামে তাঁকে বেশি সম্বোধন করে থাকেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে অনুব্রতের ‘কেষ্ট’ নামটি নিয়ে বিতর্ক দেখা দেবে তাতে আর অবাক হওয়ার কী আছে?

Anubrata Mondal 1

আদতে রবি ঠাকুরের কবিতার আড়ালে ওই কেষ্টকেই ‘চোর’ বলা হয়েছে ওই।এদিকে অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা যখন বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে হাজিরা দিয়ে এসেছিলেন, তখন প্রকাশ্যেই তাঁকে ‘গরুচোর’ এবং ‘গরুচোরের মেয়ে’ বলে কটাক্ষ করা হয়। আইনজীবীদের একাংশও অনুব্রতকে ‘গরুচোর’ বলে তাঁদের ক্ষোভ জানান।

বিজ্ঞাপন জগতের লোকজনের মতে বিজ্ঞাপনটির মধ্যে বুদ্ধির ছাপ রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে বেশ খানিক ‘দুষ্টুমি’ও। এক পেশাদারের কথায়, ‘বিজ্ঞাপনটা এমন ভাবে করা হয়েছে, যাতে আপাতদৃষ্টিতে কিছু বলার নেই। জন্মাষ্টমীর দিন হল শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি। এবং শিশু কৃষ্ণ ননীচোরা বলেই খ্যাত। আর শিশুকে কৃষ্ণের বদলে আদর করে ‘কেষ্টা’ বা ‘কেষ্ট’ তো বলা যেতেই পারে।’

Avatar
Sudipto

সম্পর্কিত খবর